কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) সম্পর্কে বর্তমানে আমরা প্রায় সবাই শুনেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজকে আরো সহজ করে তুলেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে আমাদের এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য বিভিন্ন বিপদের শিকার হতে হচ্ছে। এই পোস্টে আপনাদের বিস্তারিতভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমাত্রা সম্পর্কে ধারণা দিব এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা সম্পর্কে বলব।
আসসালামু আলাইকুম। Trickmi তে আপনাকে স্বাগতম। আজকের আর্টিকেলে ”কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অসুবিধা । এর প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা” সম্পর্কে আলোচনা করবো।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলেছে। এটি আমাদের জীবনের অনেক কাজকে সহজ করে দিয়েছে। তবে উপকারের পাশাপাশি এর অপকারও রয়েছে। যা আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কী?
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা (ইংরেজি তে ARTIFICIAL INTELLIGENCE. শর্ট নাম AI) হলো এমন একটি প্রযুক্তি/রোবট যেটা মানুষের মতো অনেক কাজ করতে পারে। প্রোগ্রামিং করে এর মধ্যে মানুষের মতো অনেক বুদ্ধি। এটির মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ করানো হয়ে থাকে, এতে নিজেদের কষ্ট হয় না।
আরো পড়ুন..
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কয় প্রকার?
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণত ২ প্রকার।
- ওয়েবভিত্তিক A.I
- রোবট A.I
ওয়েবভিত্তিক A.I
ওয়েবভিত্তিক কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হলো ওয়েবসাইটের বা সফ্টওয়ারের মাধ্যমে আমরা যেটি ব্যবহার করি। যেমনঃ চ্যাটজিপিটি, বিং এ.আই ইত্যাদি।
রোবট A.I
রোবট কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হলো রোবটের মতো একটি এ.আই। আর এই A.I এর অনেক ফিচারস থাকে। যেটি মানুষের মতো কাজ অনেক করে। চলুন জেনে আসি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপকারিতা ও অপকারিতা
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অনেক সুবিধা রয়েছে । এটা আমাদের বর্তমানের সকল কাজগুলোকে আরো সহজ করে তুলেছে। তেমনি এটির অপকারিতা ও রয়েছে। এটির ফলে বর্তমানে সাইবার অপরাধ আরো বৃদ্ধি পেতেছে। তাই আমরা ওয়েব ভিত্তিক এআই এবং রোবটিক এআই এর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানবো।
ওয়েবভিত্তিক এ.আই এর ফিচারস
ওয়েবভিত্তিক এ.আই এর অনেক ধরনের ফিচারস থাকে। এটির খারাপ দিক ও ভালো দিক আছে। এটির মাধ্যমে ফটো তৈরি করা, ভিডিও তৈরি করা,
ফটো ইডিট করা, মিউজিক তৈরি করা, আর্টিকেল লেখা, যেকোনো প্রশ্নের উত্তর তৈরি করাসহ অনেক কাজ করে ওয়েবভিত্তিক এ.আই। এগুলো এর ভালো দিক।
আরো পড়ুন..
এছাড়া এটির খারাপ দিকহলোঃ যে কারো ছবি থেকে কাপড় সরানো,
অন্যের কন্ঠে কথা বলা ও গান তৈরি করা,
যেকারো ছবি থেকে অশ্লীল ও পর্ণ ভিডিও তৈরি করার কাজে এটি ব্যবহৃত হয়।
তাই আমাদের উচিত প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার করা। অশ্লীল কাজে প্রযুক্তি ব্যবহার করা মানে প্রযুক্তির অপব্যবহার ও সময় নষ্ট করা।
রোবট এ.আই এর ফিচারস
রোবট এ.আই অনেক কাজে ব্যবহৃত হয়। কিছু দেশের হোটেলের ওয়েটারের কাজে রোবট এ.আই ব্যবহৃত হয়। খেলাধুলার সঙ্গী না থাকলেও এটি অনেক কাজে লাগে। Artificial Intelligence রোবটের মাধ্যমে ফুটবলের পেনাল্টি শুট, ব্যডমিন্টন, টেনিস আরো অনেক খেলাধুলা করা যায়।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা কী ভালো?
অবশ্যই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ভালো, যদি এটাকে আপনি আপনার কাজে ব্যবহার করতে পারেন। ভালো কাজে ব্যবহারের জন্য কোনো জিনিসই খারাপ নয়। যদি এটির মাধ্যমে আপনি আপনার মূল্যবান সময়টি নষ্ট করেন, আর কাজে না লাগান তাহলে এটি আপনার জন্য খারাপ হবে। আমাদের উচিত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিশেষ গুণ কী?
artificial intelligence (কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা) এর বিশেষ গুণ হলো এরা মানুষের মতো, বা মানুষের চেয়ে অধিক কাজ ও কঠিন কাজ সহজেই করতে পারে। যেমন, আপনি ফেইসবুক প্রোফাইলের জন্য একটি প্রোফাইল পিকচার বানাতে চান। এটা বানাতে অনেক সময় লাগবে। কিন্তু, ফটো জেনেরেটর ওয়েবসাইট যেমন copilot থেকে খুব সহজেই আপনার ইচ্ছা মতো ফটো জেনেরেট করতে পারবেন। কার্টুন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া, খেলার সঙ্গী না থাকলে আপনি রোবটের মাধ্যমে পেনাল্টি শুট খেলতে পারবেন। আপনি শুট করবেন ও রোবট থাকবে গোলকিপার।
আরো পড়ুন..
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব ও ভবীষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
অনেক উপকার জানলাম এবার জানি ‘কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব কি?’ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ভবীষ্যতের প্রভাব খুবই ভয়াবহ। ধারনা করা হয় মানুষ AI ব্যবহার করতে করতে এতটাই অলস হয়ে যাবে যে বিছানা থেকে পানি খেতে নামতেও নাজেহাল অবস্থা হয়ে যাবে! ভবিষ্যতে artificial intelligence এর কারণে অনেক মানুষের চাকরিও হারাবে। বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নিজেরা কোনো প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বের করে না। এ.আই ব্যবহার করেই উত্তর বের করে। এ জন্য ভবিষ্যতের মানুষগুলো হবে নিজ জ্ঞানহীন।
A.I এর ভয়াবহ প্রভাব থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
এ.আই এর ভয়াবহ প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই এখন থেকে আমাদের কাজে লেগে পরতে হবে। একেবারে প্রয়োজন ব্যতীত কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করব না। অশ্লীল কাজে ব্যবহৃত হয় এইসব এ.আই ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকব। তাহলেই আমরা এর প্রভাব থেকে রক্ষা পাব
শেষ কথা
আজকের আর্টিকেলে আমরা অনেক কিছুই জানতে পারলাম। তাই আমরা যদি এ.আই এর অপব্যবহার করি ও সকল ক্ষেত্রেই এ.আই এর উপর নির্ভর করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার