কিভাবে SEO সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখতে হয়।
SEO সমৃদ্ধ আর্টিকেল লেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত আছে শুদ্ধ ভাষায় লেখা। শুদ্ধ ভাষা না লেখার কারণে ভিজিটর পড়তে সুবিধা হবে এবং সহজেই বুঝা যাবে। এতে ভিজিটর আপনার পোষ্টের প্রতি আকর্ষিত হবে। এবং অন্য পোস্টগুলো করার ইচ্ছা জাগবে। আজকের পোস্টের মূল বিষয় কিভাবে SEO সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখতে হয়।
তাই এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখা প্রত্যেকটা ব্লগারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে কনটেন্ট সহজেই গুগলের রেংক করবে। তো এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম দেখানো হবে। প্রত্যেকটা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
SEO কি?
এস ই ও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেল এর গুনমান কত ভালো তা SEO এর মাধ্যমে বুঝা যায়। একটি কনটেন্টে ভিজিটর পাওয়ার কতটা দক্ষ সেটা এই এসইওর মাধ্যমে প্রমাণ করে। তাই ওয়েবসাইটের উপর এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আর্টিকেল রাইটিং কি?
অনেক নতুন লেখক এই পোস্টটি পড়বে। তাই তাদের জন্য এই লেখাটি। কোন একটা বিষয়ের উপর অনেক তথ্য সংগ্রহ করে তথ্যগুলোকে লিখার মাধ্যমে অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার নামই হচ্ছে আর্টিকেল রাইটিং। ভালো আর্টিকেল রাইটার হতে হলে অবশ্যই একটা বিষয়ের উপর অধিক জ্ঞান থাকতে হবে। যে বিষয়টা নিয়ে আর্টিকেল লিখবে সেটার খুঁটিনাটি সব জানতে হবে। তাহলেই আপনি ওই বিষয়ের উপর পারদর্শী হবেন। এভাবেই ভিজিটর আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরে খুশি হবেন।
কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার ও কি কি?
যে কেউ এই বিষয়টা নিয়ে ভাবতে পারেন। আসলে বলতে গেলে কনটেন্ট রাইটিং কত প্রকার তা বলা মুশকিল। বর্তমানের টেকনোলজির আপডেট অনেক রকমের নতুন নতুন কনটেন্ট দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কনটেন্ট রাইটিং।
- ব্লগ রাইটিং
- স্ক্রিপ্ট রাইটিং
- কপি রাইটিং
- ইমেইল রাইটিং
- সোশ্যাল মিডিয়া রাইটিং
এগুলো হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং এর বহুল পরিচিত কিছু অধ্যায়। বর্তমানে কন্টেন্ট রাইটিং এর আরো অনেক রকমের অধ্যায় রয়েছে।
আর্টিকেল কিভাবে লেখা যায়?
আর্টিকেল লেখার জন্য আপনাকে প্রচুর জ্ঞান দিতে হবে। তাহলে আপনি একটি আর্টিকেলের সম্পূর্ণ রূপে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আর্টিকেল বর্তমানে যেকোনো দেশের যেকোনো ভাষায় লেখা যায়। এর জন্য কোন ধরা বাধা নিয়ম কানুন নেই। কারণ এর প্রধান হবে শিক্ষা লাভ।
আরো পড়ুন..
এখন আপনি যে ভাষায় লেখেন না কেন ভিজিটর যদি আপনার লেখা বুঝে তাহলেই হবে। তবে ভিজিটরদের বোঝার সুবিধার্থে আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন ফলো করতে হবে। তাহলে আপনার পোস্ট ভিজিটররা বুঝবে। এবং google এ রেংক করে নিবে। চলুন জেনে নেই কিভাবে SEO সমৃদ্ধ আর্টিকেল লিখতে হয়।
SEO ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম।
যেকোনো ভাষার জন্য আর্টিকেল একই নিয়মে লিখতে হবে। নিয়মগুলো আপনি ফলো করতে পারলে আপনার কনটেন্ট গুগলে র্যাংক করবে।
- টপিক
- কিওয়ার্ড রিসার্চ
- টাইটেল বা হেডিং
- সাব হেডিং
- ব্যাখ্যা
- মেটা ডিসক্রিপশন
- প্লেজার ইজম চেক
- আর্টিকেল লেন্থ
- টপিক পছন্দ করা
আপনি কি বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু আপনি যদি এমন কোন বিষয়ের উপর লিখেন যে বিষয়ে গুগলে কেউই সার্চ করে না। যে বিষয়টা কোনই গুরুত্বপূর্ণ না। তাহলে এই আর্টিকেলটি গুগলের র্যাংক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই আপনাকে এমন একটি টপিক নির্বাচন করতে হবে যেটা নিয়ে সবাই সার্চ করে। আবার এমন কোন বিষয়ের উপর লিখবেন না যেটা গুগলে অনেক রয়েছে। তাহলে এই পোস্ট বেশি একটা বিজিটর পাবেন না। এবং র্যাঙ্ক করানো কষ্ট হয়ে যাবে । তাই এমন বিষয়ের উপর লিখবেন যেটা সবাই সার্চ করে কিন্তু গুগল এর কাছে কম।
আরো পড়ুন..
কিওয়ার্ড রিসার্চ করা
এসইও সমৃদ্ধ পোস্ট লিখতে হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ। আপনি যে বিষয় নিয়ে পোস্ট করবেন সেই বিষয় নিয়ে কিছু ওয়ার্ড লিখে দিলেই হবে না। আপনাকে দেখতে হবে এই কীওয়ার্ডগুলো গুগলে কতটা সার্চ করা হয়। মানুষ নিতান্তই অলস। তারা কোন কিছু লেখার বেলায় ও যত ছোট করে লিখতে পারে সেটা চিন্তা করে। তাই তারা এক শব্দে সার্চ করে। আপনার টপিক অনুযায়ী এমন কিওয়ার্ড দিতে হবে যে কিওয়ার্ড টি নিত্তান্ত আমরাও চিন্তা করি। যেগুলো সবচেয়ে বেশি গুগলে সার্চ হয় থাকে। এই কিওয়ার্ডগুলা আমরা গুগল থেকে সংগ্রহ করে নিতে পারি অথবা Google Trand থেকেও নিতে পারি।
টাইটেল বা হেডিং যুক্ত করা
একটা পোষ্টের জন্য টাইটেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ । সাধারণত আমরা পোস্টের টাইটেল ও থাম্বনেইল দেখে পোস্ট পরতে আসি। এগুলা দেখেই আমরা বুঝি আমাদের উত্তরটি পাবো কিনা। তাই এমন একটি টাইটেল যুক্ত করতে হবে যেটা দেখে ভিজিটর সমাধান খুঁজতে আসেন।
সাব হেডিং যুক্ত করা
প্রত্যেক পোষ্টের অংশগুলো আলাদা আলাদা অংশে ভাগ করা থাকে। একেক অংশে একেক বিষয় নিয়ে বলা হয়। আমরা এই বিষয়গুলোর টাইটেলকে হাইলাইট করার জন্য h3,h4,h5. ইত্যাদি html ট্যাগ ব্যবহার করতে পারি।
ব্যাখ্যা দেয়া
আমরা যখন কোন কিছুর রচনা লিখি। তখন এটা সম্পর্কে বিস্তারিত লিখি। বিভিন্ন অংশে অংশে ভাগ করে। প্রত্যেক অংশে কিছু ব্যাখ্যা করা থাকে। আমাদের পোস্টগুলোও প্রায় রচনার মত করে লিখতে হবে। এবং খুঁটিনাটি সব বিস্তারিত লিখতে হবে।
মেটা ডিসক্রিপশন লিখা
মেটা ডিসক্রিপশন লেখার ফলে মেটা আপনার ডিসক্রিপশন দেখেই বুঝে যাবে আপনার পোস্টটি কোন টপিকের। তখন যারা এই বিষয় নিয়ে চার্জ করবে তাদের কাছে দেখাতে সক্ষম হবে। তাই আমাদের পোস্ট এর মেটাল ডিস্ক্রিপশন সুন্দরভাবে লিখতে হবে।
প্লেজারিজম চেক করা
আপনার পোস্ট লেখার পরে পোস্টটিকে চেক করে নিতে হবে। পোষ্টের কোথাও বানান ভুল আছে কিনা, পোস্ট এর সকল কিছু কাজ করছে কিনা ও পোস্টটি কপি হয়েছে কিনা। আমরা যখন আমাদের নিজ থেকে লিখি তখন এটা হওয়ার সম্ভাবনা কম। আর যখন অন্য একটি টিউটোরিয়াল পরে সেই অনুযায়ী লেখার চেষ্টা করি তাহলে কপিরাইট আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কপিরাইট আসলে আপনার অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এটা আপনার google এডসেন্স এর সমস্যা হবে। তাই পোস্ট করার আগে অবশ্যই চেক করে নিবেন।
আরো পড়ুন..
কত শব্দের আর্টিকেল লিখব
আপনি কত শব্দের আর্টিকেল লিখবেন সেটা ডিফেন্ড করে আপনার আর্টিকেলের উপর। যতটুকু লেখায় সম্পূর্ণভাবে বিশ্লেষণ হয় ততটুকু লেখাই ভালো হবে। তবে আজে বাজে লেখা লিখা যাবে না। এতে ভিজিটর বিরক্ত হবে এবং পোস্ট স্কিপ করবেন। তাই অতিরিক্ত কোন ভাষা লিখা যাবে না। তবে গুগল বেশি লেখা পোস্টগুলোকেই রেংকিং এ আনে। ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের আর্টিকেলগুলোই র্যাংকিং এ থাকে। তাই ৫০০ থেকে ১০০০ শব্দের আর্টিকেল লিখার চেষ্টা করবেন।
শেষ কথা:
আর্টিকেল লেখাটা খুবই ঝামেলা ও বিরক্তিকর হবে। তবে আপনি এই ঝামেলা আর বিরক্তি না হয়ে মনোযোগ দিয়ে আর্টিকেল লিখুন। তাহলে এই বিষয়ে আপনি দক্ষ হয়ে উঠবেন। এবং সময় এটা আপনার জন্য পানির মতো সহজ হয়ে যাবে।
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের পরবর্তী পোস্ট এর অপেক্ষায় থাকবেন আশা করি।
আল্লাহ হাফেজ