অনলাইন ইনকাম : Online Income BD

Online Income (অনলাইন ইনকাম) 2024: অনলাইন ইনকাম করার উপায়

বর্তমানে লাখো মানুষ অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছে। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীরা এই অনলাইন ইনকামের সাথে সংযুক্ত। অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং সহ অসংখ্য পদ্ধতিতে তারা এই ইনকাম করছে। প্রতিমাসের লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করছে অনেকে। অনলাইন ইনকামের শূন্য থেকে শেষ পর্যন্ত এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হবে। অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বেসিক সকল ধারণা নিতে এই পোস্টটি পড়বেন।

ভূমিকাঃ

বর্তমান বিশ্ব প্রযুক্তি নির্ভর। প্রযুক্তির এই বিশ্বে আমরা সকল ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি। রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত এবং সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পর্যন্ত আমরা সব সময় প্রজেক্টের উপর নির্ভর করে থাকি। আমরা প্রতিনিয়ত মোবাইল ব্যবহার করে থাকি। এটা হচ্ছে প্রযুক্তির অন্যতম আবিষ্কার। আর এই আবিষ্কারগুলোই আস্তে আস্তে আমাদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দিচ্ছে। আমাদের অনলাইন থেকে ইনকাম করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
প্রতিবছর বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক রেমিটেন্স আসছে। যার অধিকাংশই ফ্রিল্যান্সার, ইউটিউবার এবং প্রবাসীদের হাত ধরে আসছে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর উন্নতশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের এই প্রতিযোগী হয়ে ওঠার পেছনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ। প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ এখন সকল কিছুতেই এক্সপার্ট হয়ে উঠছে।
বর্তমানে অনলাইনে অনেক কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। খুব সহজেই মানুষ প্রচুর অর্থ ইনকাম করতে পারছে। এবং সেটা দ্বারা তারা তাদের পরিবার চালাচ্ছে। সে দিক থেকে বাংলাদেশও কম এগিয়ে নয়। বাংলাদেশের লাখো মানুষ এখন অনলাইন ইনকাম এর মাধ্যমে জীবন যাপন করছে। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ইনস্টিটিউট গুলো বাংলাদেশীদের হাত ধরেই চলছে।
চাইলে আপনিও এই অনলাইন ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিদিন ৫০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত অনলাইনে আয় করতে পারবেন। প্রতি মাসের লক্ষ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। তবে কিভাবে সম্ভব? কিভাবে সম্ভব এই পোস্ট নিয়েই আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তাই ধৈর্য সহকারে পোস্টটি সম্পুন্ন পড়ার অনুরোধ।
এই অনুচ্ছেদে আমরা ২০২৪ সালের অনলাইনে ইনকাম করার সকল স্ক্রিল গুলো নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার যে সকল স্ক্রিল গুলোর জনপ্রিয়, যে সকল স্কিল গুলোতে অধিক পরিমাণ ইনকাম হবে, বিদেশি এবং দেশি, যে সকল স্ক্রিল গুলো খুব সহজ ইত্যাদি এইরকম বিষয় নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

অনলাইন ইনকাম 2024

সময় যতই এগোচ্ছে, বিশ্ব ততই প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠছে। প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে অনলাইনে ইনকামের প্রবণতাটাও আস্তে আস্তে বৃদ্ধি হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে অনলাইনে ইনকামের অনেক রকমের সিস্টেম চালু হয়েছে। ২০২৪ সালে এসে এটি খুবই জোরালোভাবে এগোচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে আস্তে আস্তে এটা আরো বৃদ্ধি পেতে থাকবে। অনলাইনে ইনকাম বিষয়টি আমাদের খুবই পরিচিত। আমরা হয়তো অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করার চেষ্টা করেছি। কেউ হয়তো ব্যর্থ আবার কেউ হয়তো সফল। তবে প্রযুক্তি নির্ভর এই বিশ্বে আমরা সবাই অনলাইনে ইনকামের বিষয়টির সাথে পরিচিত রয়েছি।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আসে। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে অনলাইনে ইনকাম করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়। অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে যুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা প্রায় ৭ লাখেরও বেশি। এবং এর সংখ্যা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে আছে। বাংলাদেশ থেকে গ্লোবাল মার্কেটিং এর অন্যতমভাবে কাজ করছে ফ্রিল্যান্সাররা। প্রতি মাসে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা অর্জন করছে বাংলাদেশ। নিজের এবং পরিবারের খরচ চালাচ্ছে অনেক যুবক। দিনে দিনে ফ্রিল্যান্সিং আস্তে আস্তে উন্নতির দিকে যাচ্ছে। অনলাইন ইনকাম করার উপায়

আরো পড়ুন..

অনলাইন থেকে আনলিমিটেড টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় – অনলাইনে ইনকাম করার 100 টি সহজ উপায়

ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে ইংরেজি শব্দ। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় মুক্ত পেশা। অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি এটা একটি মুক্ত পেশা। এটাকে মুক্ত পেশা বলার কারণ হচ্ছে, এখানে মুক্তভাবে কাজ করা যায়। সাধারণ আমরা একটি চাকরির ক্ষেত্রে একটি নিয়ম এবং সময় মেনটেন করে চাকরিতে যোগদান করতে হয়। অফিসের বসের নিয়ম কানুন মানতে হয়। তাই সেটি মুক্ত ভাবে কাজ করা সম্ভব না। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং নিজের মন ইচ্ছা কাজ করা যায়। মুক্তভাবে যখন খুশি যেভাবে খুশি কাজ করা যায়। তাই ফ্রিল্যান্সিংকে মুক্ত পেশা বলা হয়।
কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধীনে না থেকে মু্ক্তভাবে কাজ করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। যারা ফ্রিল্যান্সিং কিংবা এধরনের কাজ করে থাকেন তাদেরকে বলা হয় ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবী। বর্তমান সময়ে এই ফ্রিল্যান্সিং এর অধিকাংশ কাজগুলোই ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়ে থাকে। তার ফলে ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসেই মুক্তভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারেন।
চাকরি: চাকরি কিন্তু মুক্ত পেশা নয়। হিসাব করলে দেখতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং তাও মুক্ত পেশা নয়। কারণ ফ্রিল্যান্সিং এও আপনি পুরোপুরি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। সেখানে আপনাকে প্লাটফর্ম এর নিয়ম কানুন মানতে হবে।
কোন একজন ব্যক্তির হয় তার ইচ্ছাকৃত কার্যকলাপ যা লোকেরা নিজের, অন্যদের, বা একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের চাহিদা এবং চাওয়াকে সমর্থন করে তাকে চাকরি বলে।
চাকরি যেকোনো কাজ ধরা হতে পারে। আপনি এই মুহূর্তে শুয়ে আছেন এটিও চাকরি হতে পারে। কিন্তু এটি ফ্রিল্যান্সিং হবে না। আপনি এই মুহূর্তে শুয়ে আছেন এটা কিভাবে চাকরি হবে? আপনার বস আপনাকে বলেছেন শুধু শুয়ে থাকলে আপনাকে বেতন দিবে। তাই আপনি শুয়ে আছেন। অর্থাৎ এটি আপনাকে বেতন দায়িত একটি চাকরি। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং এ শুয়ে থাকার পর বেতন পাওয়া যায় না।

ফ্রি টাকা ইনকাম

বর্তমান সময় এসে অনেকেই ফ্রি টাকা ইনকামের কথা বলেন। অনেকেই বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করেন। বর্তমানে অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে ফ্রি টাকা ইনকাম কথাটি বলে প্রতিদিন অনেক অনেক মানুষ প্রতারণা শিকার হচ্ছেন।
আমরা সাধারণত ফ্রি কথাটি শুনলেই ওই জিনিসটির প্রতি আকর্ষিত হই। ফলে প্রতারণাকারী সহজে আমাদের সাথে প্রতারণা করতে পারে। অনলাইনে ইনকামের বিভিন্ন মাধ্যম খুঁজছেন আর ফ্রি টাকা ইনকামের কথা শুনে প্রতারণা হন এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। অর্থাৎ যারা এই অনলাইনে ইনকাম করার চেষ্টা করছেন তারাই ফ্রি টাকা ইনকামের কথায় প্রচারিত হচ্ছেন।
কিন্তু আসলেই কি ফ্রি টাকা ইনকাম করা সম্ভব? সে ক্ষেত্রে অনেকেই বলবো অসম্ভব। কারণ দেখা যায় ফ্রি টাকা ইনকামের কথা অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তাই আস্তে আস্তে তারা ফ্রি টাকা ইনকামের কথায় অসম্ভব মনে করছেন।
আসলে ফ্রী টাকা ইনকাম করা বর্তমানে সম্ভব। প্রতিনিয়ত অসংখ্য ওয়েবসাইট, অ্যাপস কিংবা মাধ্যম তৈরি হচ্ছে যেখানে আপনাকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইনকাম করার সুযোগ দিবে। তবে তার পাশাপাশি কিছু স্ক্যাম সাইট বা মাধ্যম তৈরি হচ্ছে। যেখানে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকে।

আরো পড়ুন..

অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় ২০২৪

তবে বর্তমানে ফ্রি টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি যদি চান তুই টাকা ইনকাম করবেন তাহলে অনলাইনে অনেক সোর্স পেয়ে যাবেন। যার মধ্যে কিছু সত্য আবার কিছু মিথ্যা। তবে আপনি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করে সত্য মিথ্যা যাচাই করে নিবেন।

সরকারি অনলাইন ইনকাম

বর্তমানে অনলাইন ইনকাম এর ক্ষেত্রে আরও একটি কথা হচ্ছে সরকারি অনলাইন ইনকাম। যখন অনলাইন ইনকামের সাথে সরকারি কথাটি যুক্ত হয় অনেকেই সেটা বিশ্বাস করেন। যে এটি সরকারি ইনকাম প্রযুক্তি তার মানে এখানে কোন প্রতারণার সুযোগ নেই।
কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে আসলে জিনি সরকারি অনলাইন ইনকামের কথাটি বলেছেন। আদৌ কি সেটা সরকারি ইনকাম সোর্স? এই বিষয়ে জানতে আপনাকে অবশ্যই ওই ইনকাম সোর্স সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হয়। তাহলে এক্ষেত্রে আপনি কোন রকম প্রতারণার শিকার হবেন না।
সরকারি অনলাইন ইনকাম বিষয়টি আপনাদের নজরে এলে অবশ্যই খতিয়ে দেখবেন। আসলে ওই বিষয়টি সত্যিই কি সরকারি নাকি ফ্রট। সত্যি বলতে সরকারিভাবে বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের কোন ওয়েবসাইট বা সোর্স তৈরি হয়নি। তাই সরকারি অনলাইন ইনকাম বিষয়টি সম্পূর্ণ ভুয়া।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যে সকল অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে। সেগুলো সম্পূর্ণ যে কারো ব্যক্তিগত সাইট। অথবা যেকোনো জনপ্রিয় কোম্পানি ওয়েবসাইট। তবে বাংলাদেশী কোন সরকারি অনলাইন ইনকাম সোর্স নেই। অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

অনলাইনে ইনকাম করার উপায় ২০২৪

Download

অনলাইনে ইনকাম করার অসংখ্য উপায় রয়েছে। প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজ তৈরি হচ্ছে। যে সকল কাজ করে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। দেশে অথবা বিদেশে যে কোন প্রান্তে বসে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে এসে অনলাইনে ইনকাম করার সকল উপায় গুলো সম্পর্কে জানুন।
প্রতিনিয়ত মানুষ অনলাইন নির্ভর হয়ে উঠেছেন। তাই সকল ক্ষেত্রেই অনলাইন নির্ভর হওয়ার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আর এ সকল কর্মসংস্থান তৈরি হওয়ার ফলে আমরা অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করতে পারছি না। বর্তমান সময়ে এসেও অনলাইনে বিভিন্ন কাজ করে ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে। অনলাইন ইনকাম করার উপায়

আরো পড়ুন..

অনলাইনে প্রশ্নোত্তর করে ইনকাম করুন বিশ্বস্ত একটি সাইট থেকে 2024

ফ্রিল্যান্সিং: ফ্রিল্যান্সিং কি তা ইতিমধ্যে আপনি বুঝতে পারছেন। এখানে এসেও ফ্রিল্যান্সিং কথাটি আসার কারণ বর্তমান সময় অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ভিত্তিক কাজ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং।
ব্লগিং: যারা বিভিন্ন ধরনের ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে ব্লগ পোস্ট লিখেন তাদেরকে বলা হয় ব্লগার। আর ব্লগার যে কাজ করে সেটাই হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় কাজ। এই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে ২০২৪

বর্তমানে মোবাইল দিয়ে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব। মোবাইলের জন্য অনলাইনে ইনকাম করার জন্য রয়েছে অসংখ্য android apps। তাছাড়া অনলাইনে ইনকাম করার জন্য মোবাইল ব্যবহারকারীদের এবং ডেক্সটপ ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ওয়েবসাইট।
আপনি যদি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত যারা প্রফেশনাল ভাবে অনলাইনে ইনকাম করে থাকেন তাদের আপনি ডেক্সটপ ব্যবহার করতে দেখবেন। তাই হয়তো অনেকেই ভাবেন যে অনলাইনে ইনকাম করতে হলে ডেক্সটপ প্রয়োজন হয়।
আসলে আপনি যাদের ডেক্সটপ ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করতে দেখছেন এক সময় তারাও মোবাইল ব্যবহার করে অনলাইন ইনকাম করতেন। পরবর্তীতে অধিক ইনকাম করার পর তারা একটি ডেক্সটপ কিনে নেয়। কারণ মোবাইল অপেক্ষার ডেক্সটপ এর সকল কাজ করা সহজ। তবে তাদের ইনকামের শুরুটা কিন্তু মোবাইল দিয়েই হয়।
এর অর্থ হচ্ছে আপনিও মোবাইলে ইনকাম করতে পারবেন। এবং পরবর্তীতে ইনকাম অনুযায়ী সুবিধামতো ডেক্সটপ কিনে নেবেন। তো এভাবেই আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করতে চান মোবাইলের মাধ্যমে। তাহলে আপনার জন্য রয়েছে বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট। চলুন দেখে আসি এই অনলাইনে ইনকাম করার অ্যাপস এবং ওয়েবসাইটগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।

অনলাইন ইনকাম সাইট 2024

বর্তমান সময়ে অনেকগুলো অনলাইন ইনকাম সাইট রয়েছে। যে সকল সাইটের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এ সকল সাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি সহজ কাজ কঠিন কাজ এবং বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
যেহেতু ডেক্সটপ অপেক্ষায় মোবাইল ছোট। তাই ডেক্সটপে যে কোন কাজ সুবিধা মত করা সম্ভব। আপনার কাছে একটু ডেক্সটপ থাকলে অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোর মাধ্যমে সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। আর যদি আপনার কাছে ডেস্কটপ না থাকে তাহলেও মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তবে মোবাইলের মাধ্যমে ইনকাম ডেক্সটপ অপেক্ষায় একটু কষ্টকর হয়।
বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। এ সকল ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি অনলাইনে ইনকাম করার বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো এবং কাজ কি সে সম্পর্কে।
Fiverr, Upwork: এগুলা হচ্ছে অনলাইন ইনকাম করার ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। হঠাৎ এই প্লাটফর্ম গুলো থেকে আপনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আর ফ্রিল্যান্সিং এর মধ্যে কি কি কাজ থাকে তা ইতিমধ্যে আপনারা জেনেছেন। তাই আপনাদেরকে আর বিস্তারিত বললাম না।
Adsterra, Advertica: এগুলা হচ্ছে বিভিন্ন অ্যাড নেটওয়ার্ক। এ সকল এড নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি অনলাইনের ডলার ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। আপনার জন্য কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে ওয়েবসাইটটি মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া ওইখানে ডাইরেক লিংক নামক একটি লিংক রয়েছে। ওই লিংক মনিটাইজেশন করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আরো আলোচনা করা হবে।
Swagbucks, InboxDollars: এ সকাল ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সার্ভে কমপ্লিট করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ধরনের সার্ভে, বিভিন্ন ধরনের টাস্ক, বিভিন্ন ধরনের ক্যাপসা ও ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে সকল ওয়েবসাইট থেকে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
Creative Market, Shutterstock: এসকল ওয়েব সাইটগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারবেন। সকল ওয়েবসাইট আপনার কাজ আছে বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট সেল দেওয়া। খুব জনপ্রিয় হলেও অসংখ্য লোক এসব ওয়েবসাইটের সেল দেওয়ার কাজ করে থাকেন। আসলে যে সকল মানুষের কাছে প্রচুর বায়ার যোগাযোগ করে তাদের জন্য এই কাজটা খুবই সহজ।
Shutterstock: আপনি যদি ছবি তোলায় দক্ষ হন । অর্থাৎ আপনি যদি ফটোগ্রাফার হয়ে থাকেন সুন্দর সুন্দর ফটো তুলতে পারেন তাহলে আপনি বিভিন্ন ফটো বিক্রি করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। আপনার তোলা সেই সকল ফটো এই ওয়েবসাইটে বিক্রি করার মাধ্যমে ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এই ওয়েবসাইটগুলো ছাড়া বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার অসংখ্য ওয়েবসাইট রয়েছে। যে সকল ওয়েবসাইট আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি এবার বাংলাদেশে কিছু ওয়েবসাইট।

অনলাইন ইনকাম সাইট বাংলাদেশ

অনলাইন মাধ্যমে ইনকাম করার বাংলাদেশি কিছু সাইট রয়েছে। যে সকল সাইটের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বাংলাদেশের সাইটগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে ইনকাম করা যায়। চলুন দেখে আসি বাংলাদেশের কিছু উল্লেখযোগ্য সাইড যেখানে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুন..

টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

Trickbd: এটি একটি বাংলাদেশে জনপ্রিয় ব্লগ ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ধরনের ব্লগ পোস্ট সাবমিট করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে প্রথমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তার পরবর্তীতে আপনাকে তিনটি ইউনিক পোস্ট সাবমিট করতে হবে। ইউনিক পোস্ট সাবমিট করার কিছুদিনের মধ্যে এডমিন আপনার পোস্টগুলো পাবলিস্ট করবেন। তিনটি পোস্ট পাবলিস্ট হওয়ার পরবর্তীতে আপনি ওই ওয়েবসাইটের অথর হয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনি ওয়েবসাইটের নিয়মিত লেখক হবেন। তার পরবর্তীতে আপনি বিভিন্ন ধরনের পোস্ট সাবমিট করবেন। এডমিনগণ আপনার পোস্ট অনুযায়ী অ্যাকাউন্টে টাকা যুক্ত করবেন। এভাবে আপনি আড়াইশো টাকা হলে বিকাশ নগদ অথবা রকেট এর মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
Trickmi Q2Ans: এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ছোট ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর দেয়ার মাধ্যমে আপনি আনলিমিটেড ইনকাম করতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি প্রতিনিয়ত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানতে পারবেন। অর্থাৎ আপনি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। আর শিক্ষা নেওয়ার পাশাপাশি ইনকাম করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে আপনি একটি প্রশ্ন করলে ৩ পয়েন্ট পাবেন। আবার একটি উত্তর দিলে পাবেন চার পয়েন্ট। এভাবে ১০০০ পয়েন্ট হলেই আপনি ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা বিকাশ অথবা নগদের মাধ্যমে তুলতে পারবেন। আর আপনি যদি দেড়শো পয়েন্ট করতে পারেন তাহলে পাবেন ২০ টাকা মোবাইল রিচার্জ।
Dealancer,Belancer : এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম। এই ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করার মাধ্যমে বাংলাদেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে এ সকল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলোর তেমন জনপ্রিয় নয়। তাই অনেকে সকল ওয়েবসাইটে কাজ করা এবং পেমেন্ট নিয়ে সন্দেহ করেন। আমি মনে করি আপনি যদি এ সকল ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোর কথা চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই পেমেন্ট সংক্রান্ত তথ্য জেনে নিবেন।
Bikroy.com: বাংলাদেশি পণ্য বিক্রয় করে ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট এটি। হঠাৎ এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্য কেনাবেচা করতে পারবেন। আরে পণ্য কেনাবেচার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কমিশন দেওয়া থাকবে। আপনার বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা আপনাকে ওই কমিশন গুলো দেবেন, যা আপনার লাভ। অনলাইন ইনকাম করার উপায়

অনলাইনে ইনকাম করার apps

মোবাইল ব্যবহারকারীদের জন্য বর্তমানে অসংখ্য অনলাইন ইনকাম অ্যাপস রয়েছে। যে সকল অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত অনলাইন ইনকাম অ্যাপস গুলোর ওয়েবসাইট ভার্সন ও থাকে। আর যে সকল অনলাইন ইনকাম অ্যাপসগুলোর ওয়েবসাইট ভার্সন থাকে না। সে সকল অ্যাপসগুলোতে আপনার সামান্য পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ মোটামুটি ইন্টারনেট খরচ চলে যাওয়ার মত ইনকাম। তবে অনলাইনে ইনকামের জন্য এমন অ্যাপস রয়েছে যেই অ্যাপসগুলোর মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে এইরকম অনলাইনে ইনকামের অসংখ্য অ্যাপস রয়েছে। দেশে-বিদেশে যে কোন স্থানে এরকম অনলাইনে ইনকাম অ্যাপস রয়েছে। যে সকল অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ছোট ছোট কাজ করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। চলুন দেখে আসি এরকম কিছু অনলাইন ইনকাম অ্যাপস।

আরো পড়ুন..

Bangladeshi app প্রতিদিন 1000 টাকা ইনকাম পেমেন্ট বিকাশ

Neobux: ২০০৮ সাল থেকে চলে আসা এই এপস অনেক জনপ্রিয়। বর্তমানে এই অ্যাপসের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। এই অ্যাপসে মূলত বিজ্ঞাপন দেখে এবং ক্লিক করে ইনকাম করা যায়। এই অ্যাপস এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে। এই অ্যাপসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হচ্ছে Neobux.com। অর্জিত ডলার আপনি পেপাল একাউন্ট এর মাধ্যমে নিতে পারবেন।
AdWallet: অনলাইনে দেখার সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট আছে এই অ্যাপস। যেখানে এই অ্যাপসের নাম দেখেই বুঝতে পারছেন এটি বিজ্ঞাপন দেখার অ্যাপস। তবে এই অ্যাপসের ওয়েবসাইট ও রয়েছে। এই অ্যাপসে বিভিন্ন ভিডিও দেওয়া থাকে ভিডিওগুলো দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়া বিভিন্ন ছোট ছোট সার্ভে থাকে যেগুলো পূরণ করার মাধ্যমে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
InboxDollars: ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই অনলাইনে ইনকাম প্লাটফর্মটি এখন অসংখ্য কোটিকোটি মানুষ ব্যবহার করছেন। এখন থেকে অনেক মানুষ এই সাইট থেকে পেমেন্ট পেয়েছেন। এই সাইটে প্রথম রেজিস্ট্রেশন এর সাথে সাথে পাঁচ ডলার বোনাস দেওয়া হয়।
এই সাইটে একটি বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে আপনি 0.030 থেকে ৩০ পর্যন্ত ডলার ইনকাম করতে পারবেন। তারপরেই অ্যাপস না ৩০ ডলার হলেই পেপাল , ব্যাংক ইত্যাদির মধ্যে উইদ্র করতে পারবেন।
JumpTask: বিজ্ঞাপন দেখে ইনকামের আরও একটি জনপ্রিয় অ্যাপস এটি। কে আছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। মাইক্রো ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বিভিন্ন ইনকামের সুযোগ রয়েছে।
এখানে ফ্রিতেই অ্যাকাউন্ট খুলে আপনি বিভিন্ন ধরনের এড দেখে ইনকাম করতে পারবেন। এবার বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট টাস্ক পূরণ করার মাধ্যমে এখান থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
iRazoo: ভিডিও দেখে টাকা ইনকামের আরো অন্যতম জমা ফেলো ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপস এটি। সবচেয়ে ভালো লাগা বিষয় আছে এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সিনেমার ট্রেইলার ও দেখে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপসে একটি ভিডিও দেখার মাধ্যমে আপনি 1.p করে পাবেন। আর প্রতিটি পয়েন্ট এর মূল্য 0.08 ডলার।

অনলাইনে ইনকাম করার apps বাংলাদেশ

বর্তমান সময়ে অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বাংলাদেশে অনেক রকমের এপস রয়েছে। অ্যাপসগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কাজ। যে সকল কাজ করার মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
সাধারণত বাংলাদেশ অ্যাপস গুলোর মাধ্যমে অনলাইনে বেশি ইনকাম করা যায় না। বড়জোর আপনার প্রতি মাসের ইন্টারনেট খরচ চলার মত হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশে এতগুলো দ্বারা অনলাইনে বেশি পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব।

অনলাইন ইনকাম : Online Income BD
বাংলাদেশে এমন কিছু অ্যাপস রয়েছে যে সকল অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এবং পাশাপাশি বিকাশ নগদ অথবা রকেটের মাধ্যমে পেমেন্ট নিতে পারবেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই সকল বাংলাদেশী অ্যাপস গুলো।
Taka Income: বাংলাদেশের অনলাইন ইনকাম অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম। বর্তমান সময়ের টাকা ইনকাম অ্যাপস গুলোর মধ্যে এই অ্যাপসটি সবচেয়ে জনপ্রিয়। এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কুইজ খেলে ইনকাম করতে পারবেন। তাছাড়াও এই অ্যাপসের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রিওয়ার্ড জেতার সুযোগ পাবেন।
Taka Income Pro: বাংলাদেশের টাকা ইনকাম অ্যাপস গুলোর মধ্যে অন্যতম এই অ্যাপস। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি তাও কুইজ খেলার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। এপ্স এর টাইটেল দেখে পৌঁছে গিয়েছেন এই অ্যাপসটির জনপ্রিয়তা কতটুকু হতে পারে। এই অ্যাপসটি প্লে স্টোরে সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন।
Daraz: আমরা জানি দারাজ একটি অনলাইনে পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের সাইট/এপস। কিন্তু হয়তো আপনি এটা জানেন না যে তারাদের মাধ্যমে অনলাইনে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। সেটা আছে দারাজ এর বিভিন্ন পণ্য সেল করার মাধ্যমে। অনলাইন ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেই।

অনলাইনে আয়ের সেরা উপায়

অনলাইনে আয় এর সেরা ১০ টি উপায় সম্পর্কে এখন আপনাদের জানাবো। বর্তমান সময়ে অনলাইনে অনেক রকমের উপায় আয় করা সম্ভব। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং অধিক পরিমাণে আয় করার জন্য কিছু উপায় রয়েছে। সেরকম অধিক আয় এবং সুবিধাজনক ১০ টি উপায় সম্পর্কে এই পোস্টে জানাবো। চলুন দেখে আসা যাক অনলাইনে সবচেয়ে সুবিধা জনক ইনকামের দশটি উপায়।

অনলাইন ইনকাম : Online Income BD

ফ্রিল্যান্সিং করে আয়

বর্তমান সময়ের তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনকামের উপায় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং এর অর্থ হচ্ছে মুক্ত পেশা। অর্থাৎ আপনি কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির অধীনে কাজ না করে কোন কোম্পানির কাজ করে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে ফ্রিল্যান্সিং বলে। ফ্রিল্যান্সিং মূলত প্রকল্প ভিত্তিক কাজ। যেটা ব্যক্তিকে নিজের মন মত কাজ করার পারমিশন দেয়। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট বিষয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং থেকে আয়ের ধাপ সমূহ

দক্ষতা অর্জন: কোন ব্যক্তি যদি ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাই তাহলে যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। বর্তমান সময়ের ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যতম জনপ্রিয় কাজগুলো হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং, ডেটা এন্ট্রি, বা প্রোগ্রামিংয়ের মত কাজ। এ কাজগুলো যেখানে একটি বিষয় দক্ষ হতে পারলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর উপযুক্ত।
ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন: অসংখ্য ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম রয়েছে বর্তমানে। তাই একজন ব্যক্তির ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে একটি নির্দিষ্ট ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম গুলো হচ্ছে Fiverr, Upwork, freelancer, toptal ইত্যাদি। এখান থেকে আপনি যে কোন একটি প্লাটফর্ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে আপনার সাথে মানানসই একটি প্ল্যাটফর্ম বেছে নিবেন।
পোর্টফোলিও তৈরি: আপনার দক্ষতা দেখানোর এবং প্রমাণ করার জন্য আপনাকে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে হবে। যেখানে আপনার অতিতের সকল কাজগুলোর রেকর্ড থাকবে। অর্থাৎ পোর্টফোলিও এর মাধ্যমে আপনি আপনার দক্ষতা প্রমাণ করবেন।

আরো পড়ুন..

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ সমূহ এবং ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

প্রস্তাব পাঠানো: বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলোতে অসংখ্য পরিমাণে ফ্রিল্যান্সার কাজের অপেক্ষায় থাকে। তাই আপনি ফ্রিল্যান্সিং অ্যাকাউন্ট তৈরি করে বসে থাকলে হবে না। পোর্টফোলিও তৈরির পাশাপাশি আপনার বিভিন্ন কাজের প্রস্তাব পাঠাতে হবে। প্রস্তাব সাধারণত ওই প্ল্যাটফর্মকে পাঠানো হয়ে থাকে। পরবর্তীতে প্ল্যাটফর্ম বিভিন্ন ক্লাইন্টদের কাছেই প্রস্তাব ট্রান্সফার করেন।
কাজ সম্পন্ন করা এবং পেমেন্ট গ্রহণ: আপনার প্রস্তাব প্লাটফর্ম কর্তৃপক্ষ কোন ক্লায়েন্টদের কাছে পাঠালে তারা আপনার প্রস্তাবে রাজি হলে আপনি তাদের কাজ পরিপূর্ণ করবেন। তাদের কাজ পরিপূর্ণ করার পর তার আপনাকে প্লাটফর্ম এর মাধ্যমে পেমেন্ট পরিশোধ করবেন।
সতর্কতা: কখনোই প্লাটফর্ম এর নিয়ম কানুন এর বাইরে কোন ধরনের কাজ করতে যাবেন না। আপনার কোন ক্লায়েন্ট যদি আপনাকে প্লাটফর্ম গুলোর বাইরে কাজ করার কথা বলে তাহলে কখনোই সেটা করবেন না। কেননা তারা আপনার সাথে স্কেম করতে পারে। আর হ্যাঁ অবশ্যই একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে সর্বাধিক দক্ষতা নিয়ে কাজ করবেন। তাহলে দিনশেষে একটি ভালো এমাউন্ট ইনকাম করা সম্ভব হবে।

ব্লগিং করে আয়

বর্তমানে ইন্টারনেট যুগে অনলাইনে ইনকামের বিভিন্ন ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে। যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ব্লগিং। বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্লগিং করার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করে থাকেন। ব্লগিং হলো বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে মানুষকে বিভিন্ন বিষয়ে জানানো। অর্থাৎ আপনি যদি কোন একটি বিষয়ে জানেন তাহলে ব্লগিং করে অন্যকেও সে বিষয়টি জানাতে পারেন। এখানে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। তারপর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্যদেরকে আপনার জানা বিষয়বস্তু শেয়ার করতে পারবেন। শেয়ার করার পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইন ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম।

ব্লগিং কি?

ব্লগিং হলো ইন্টারনেটে ব্যক্তিগত বা পেশাগত মতামত, অভিজ্ঞতা, এবং জ্ঞান প্রকাশের একটি মাধ্যম। একটি ওয়েবসাইট যেখানে নিয়মিত কোন ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকেন এবং মানুষ সে সকল আর্টিকেল থেকে কিছু জানতে পারেন। এই ব্লগে বিভিন্ন বিষয়বস্তু থাকতে পারে। ব্লগের বিষয়বস্তু হতে পারে শিক্ষা, প্রযুক্তি, ভ্রমণ, ফ্যাশন, খাবার, ব্যবসা, অথবা ব্যক্তিগত জীবনের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।

ব্লগিং করে আয় করার উপায়

বর্তমান সময়ে ব্লগিং করার মাধ্যমে অনেক রকমের উপায় রয়েছে। বিভিন্ন ব্লগাররা সকল উপায় গুলোর মাধ্যমে অনলাইন থেকে ইনকাম করে থাকেন।

আরো পড়ুন..

মোবাইল দিয়ে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট

এডসেন্স: ব্লগিং করে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনকামের উপায় হচ্ছে এডসেন্স। এখানে ব্লগাররা ব্লক ওয়েবসাইট তৈরি করে কিছুদিন পর এডসেন্স এর আবেদন করে। এডসেন্স এর আবেদন করার পর গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পেলে এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন এডসেন্সের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করবেন। আর এই বিজ্ঞাপন গুলো বিভিন্ন দর্শক দেখবেন এতে আপনার ইনকাম হবে।
স্পন্সরশিপ ও ব্র্যান্ড ডিল: আপনার ব্লগ ওয়েবসাইট যদি একবার জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে তাহলে বিভিন্ন কোম্পানির তাদের পণ্য বিক্রয়ের জন্য আপনার কাছে স্পন্সর করবে। অর্থাৎ অনেকটা এডসেন্স এর বিজ্ঞাপনের মত। এখানে আপনার ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকবে। আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর যদি এই বিজ্ঞাপন থেকে কোন অন্য ক্রয় করে তাহলে ক্রয়ের কিছু পরিমাণ আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড় াও ব্লগিং করে আরো অন্যান্য উপায়ে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পণ্য বিক্রি এবং blog website তৈরি করে বিক্রি করে অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

ব্লগিং করে ইনকামের ধাপ সমূহ

বর্তমান সময়ে নিয়ম-কানুন মেনে ব্লগিং করলে ভালো পরিমাণে ইনকাম করা সম্ভব। তাই ব্লগিং করে ইনকামের শূন্য থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ধাপ নিচে সংক্ষিপ্ত আকারে দেওয়া হল।
ব্লগিং নিয়ে জানা: আপনি যদি ব্লগিং করে ইন্টারনেটে কথা ভাবেন তাহলে সম্পূর্ণ আপনাকে সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে হবে। ব্লগিং কি, বর্তমানে ব্লগিং এর চাহিদা কেমন, ব্লগিং করে কেমন ইনকাম হবে ইত্যাদি । এ সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর অনলাইন থেকে জানতে হবে।
ব্লগ website তৈরি: তারপর আপনি বিভিন্ন মাধ্যমে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। বর্তমান সময়ে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি জনপ্রিয় সিএমএস রয়েছে। বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস এর মাধ্যমে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। ব্লগ website এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস সিএমএস সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য বেশি। তাছাড়াও ব্লগার এর মাধ্যমে ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। যেখানে ওয়ার্ডপ্রেস অপেক্ষায় কম পরিমাণে খরচ করা লাগবে। ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে কত টাকা খরচ হবে তা নির্ভর করবে আপনার চাহিদার উপর। কারণ বর্তমান সময়ে ডোমেইনের আলাদা আলাদা দাম। আবার হোস্টিং এর আলাদা আলাদা দাম। তাই আপনার চাহিদা অনুযায়ী ডোমেইন হোস্টিং ক্রয় করবেন।
ওয়েবসাইট পাবলিশিং: সম্পূর্ণভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করা হলে ওয়েবসাইটটির গুগলে পাবলিশ করতে হবে। পাবলিশ করার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে হবে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওয়েবসাইট গুগল সার্চ কন্সলে যুক্ত করা, সাইট ম্যাপ যুক্ত করা ইত্যাদি। এবং সব মিলিয়ে ওয়েবসাইটের খুঁটিনাটি সকল বিষয়বস্তু ঠিক করা।
কনটেন্ট পাবলিশ: একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের মূল হচ্ছে কনটেন্ট। যখন ওয়েবসাইটে অনেক কনটেন্ট থাকবে ওয়েবসাইটের তত বেশি ভিজিটর আসবে। আর ওই ওয়েবসাইট থেকে তত ইনকাম হওয়ার সুযোগ থাকে। তাই ওয়েবসাইট পাবলিশ করার পরপরই আপনাকে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট পাবলিশ করতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে ওয়েবসাইটটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
এডসেন্স আবেদন বা অন্য ইনকাম প্রক্রিয়া: ওয়েবসাইট জনপ্রিয় হওয়ার পরপর ই এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন। আর যদি অন্য কোন মাধ্যমে ইনকাম করতে চান তাহলে সে সকল মাধ্যম চেষ্টা করবেন। যদি এডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন কিছুদিনের মধ্যে এডসেন্স আপনার আবেদন সম্পর্কে মতামত দিবে। একবার আপনার আবেদন সক্রিয় করা হবে আপনার ওয়েবসাইটে এড যুক্ত। তারপর পরে আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
মন্তব্য: বর্তমান সময়ে ব্লগিং এর জন্য এডসেন্স এর পরিবর্তে বিভিন্ন ধরনের নেটওয়ার্ক রয়েছে। অনেক সময় অনেকে এডমেন্স এর রিজেক্ট হয়। তখন তাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের এডসেন্সের বিকল্প অ্যাড নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি এডসেন্সের মতোই ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ব্লগিংয়ে ইনভেস্ট করার বিষয়টি ভালোভাবে জেনে নিন। কারণ আপনার সামান্য কাজের জন্য কেউ বেশি পরিমাণে টাকা নিতে পারে। তাই সকল বিষয়ে সম্পূর্ণ বিস্তারিত ধারণা নিবেন।
ইউটিউব থেকে আয়

ভিডিও দেখে আয়

Download

বর্তমানে অনেকেই ভিডিও দেখে আয় করার বিষয়টি বলে থাকেন । তাই ভিডিও দেখে আয় করার বিষয়টি বর্তমানে অনেকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আসলে সত্যি বলতে ভিডিও দেখে ইনকাম সহজ হলেও বেশি টাকা ইনকাম করা কঠিন। সব মিলিয়ে আপনি প্রতিদিনের খরচ অথবা ইন্টারনেট খরচ বহন করতে পারবেন। তবে কাজটি সহজ বলে অনেকেই যে কাজটি করেন।

ভিডিও দেখে ইনকাম করার উপায়

বর্তমানে ভিডিও দেখে কেমন করার অনেকগুলো অ্যাপস অথবা ওয়েবসাইট রয়েছে। এ সকল ওয়েবসাইটে আপনি বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। ভিডিও দেখে ইনকাম করার অ্যাপস গুলো নেই ইতিমধ্যে উপরেই আলোচনা করা হয়েছে। চলুন তারপরও কিছু অ্যাপস সম্পর্কে জেনে আসি যেখানে ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুন..

ছোট ছোট কাজ করে ইনকাম 

MyPoints: এখানে ভিডিও দেখার মাধ্যমে একাউন্ট এর পয়েন্ট জমা হয়। আর নির্দিষ্ট পয়েন্ট করার পরে পয়েন্ট ভেঙ্গে পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে ডলার পেমেন্ট নেওয়া যায়।
Vindale Research: সেটি মূলত একটি সার্ভে ওয়েবসাইট। এখানে সার্ভে করার মাধ্যমে ইনকাম করা সম্ভব। তবে পাশাপাশি বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।
Swagbucks: এখানেও আপনি বিভিন্ন ভিডিও দেখার মাধ্যমে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। আর এ সকল ইনকাম গুলো পেপাল একাউন্ট অথবা গিফট কার্ডের মাধ্যমে তুলতে পারবেন।
সতর্কতা: বর্তমান সময়ে ভিডিও দেখে ইনকাম করার অসংখ্য ওয়েবসাইট বা এপ্স রয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই ফেক। তারা আপনাদের মাধ্যমে কাজ করে পেমেন্ট দেবে না। তাই যে সকল সাইট পেমেন্ট করে সে সকল সাইট চিহ্নিত করতে হবে।

ই-কমার্স ও ড্রপশিপিং করে ইনকাম

ই-কমার্স এবং ড্রপশিপিং আধুনিক যুগে অনলাইন ব্যবসার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। যেভাবে অনলাইনে পণ্য বিক্রয় করা সহজ তেমনি ড্রপ শিপিং এর মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করা আরও সহজ। এই দুই উপায় অনলাইনে ইনকাম করার জন্য বিভিন্ন বিষয় দক্ষ হওয়া উচিত। অনলাইন ইনকাম করার উপায়

ই-কমার্স ও ড্রপশিপিং কি?

ই-কমার্স: ই-কমার্স হলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে পণ্য বা সেবা কেনা-বেচার একটি প্রক্রিয়া। এটি একটি অনলাইন স্টোর চালানোর পদ্ধতি, যেখানে ব্যবসায়ী নিজে পণ্য তৈরি করে বা সংগ্রহ করে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন।
ড্রপশিপিং: ড্রপশিপিং হলো একটি ই-কমার্স ব্যবসার মডেল, যেখানে ব্যবসায়ী নিজে পণ্য স্টক বা ইনভেন্টরি রাখেন না। আপনি যখন একটি পণ্য বিক্রি করেন, তখন তৃতীয় পক্ষ (ড্রপশিপার বা সরবরাহকারী) সরাসরি সেই পণ্যটি আপনার ক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দেয়। অর্থাৎ আপনি এদের মধ্যে হিসেবে কাজ করেন।

ই-কমার্স করে ইনকাম করার ধাপসমূহ

মার্কেট রিসার্চ ও পণ্য নির্বাচন: প্রথমে আপনাকে বুঝতে হবে কোন পণ্যটিতে অধিক পরিমাণে লাভ হয় এবং অধিক পরিমাণে লাভ করার জন্য কোন বাজারটি টার্গেট করতে হবে।
অনলাইন স্টোর তৈরি: অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে অর্থ বাজে কোন মাধ্যমে একটি অনলাইন দোকান তৈরি করতে হবে। যে দোকানের মাধ্যমে আপনি পণ্যগুলো অনলাইনে বিক্রয় করবেন।

আরো পড়ুন..

 

ডিজিটাল মার্কেটিং ও SEO: বর্তমান সময়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতা প্রতিযোগিতা মূলকভাবে এসইও করে থাকেন। অর্থাৎ পণ্যগুলো যাতে দ্রুত ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সে সকল ব্যবস্থা করতে হবে।
অর্ডার পূরণ ও গ্রাহক সেবা: এরপর যখন ক্রেতার কাছে আপনার পণ্যগুলো পৌঁছে দিতে পারবেন। তখন ক্রেতারা পছন্দ অনুযায় আপনার পণ্যগুলো অর্ডার করে থাকবেন। তাদের অর্ডার পূরণ করবেন এবং বিভিন্ন ধরনের সেবা দিবেন। এরপর তারা আপনাকে পণ্যের মূল্য পেমেন্ট করবেন। এভাবেই অনলাইনের মাধ্যমে ই-কমার্স করে ইনকাম করতে পারবেন।

ড্রপশিপিং করে ইনকাম করার ধাপসমূহ

বাজার নির্বাচন: একটি বাজার নির্বাচন করতে হবে যেখানে চাহিদা বেশি কিন্তু কম্পিটিটার কম। যাতে অধিক পরিমাণে বিক্রয়ের সম্ভাবনা থাকে।
ড্রপশিপিং সরবরাহকারী খোঁজা: AliExpress বা SaleHoo এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে ড্রপশিপিং সরবরাহকারী খুঁজে পেতে পারেন। এরা আপনার ক্রেতাদের কাছে সরাসরি পণ্য পাঠাবে।
অনলাইন স্টোর তৈরি: তারপর একটি অনলাইন ওয়েবসাইট কিংবা যেকোনো প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে একটি দোকান তৈরি করতে হবে। যে সকল দোকান থেকে আপনি অনলাইনে পন্য বিক্রয় করতে পারবেন।
অর্ডার ব্যবস্থাপনা: তার পরবর্তীতে গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছে দেওয়া জন্য এসইও এবং ডিজিটাল মার্কেটিং করতে হবে। তারপর ক্রেতারা আপনার পণ্য ক্রয় করবেন এবং পেমেন্ট করবেন।
সতর্কতা: বর্তমান সময়ে ই-কমার্স ও ড্রপশিপিং এর বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যেভাবে অনলাইনে ক্রয় বিক্রয়ের চাহিদা বাড়ছে তেমনি অনলাইনে দোকানের পরিমাণ বাড়ছে। তাই প্রতিদিন এটি কম্পিউটার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি যদি ই-কমার্স ও ড্রপশিপিং এর কাজ করতে চান অবশ্যই সঠিক গাইডলাইন জেনে নিবেন।

অনলাইন কোর্স বা টিউটরিংয়ের মাধ্যমে আয়

বর্তমান ডিজিটাল যুগে অনলাইন কোর্স এবং টিউটরিং আয়ের একটি বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেকেই অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করার মাধ্যমে ইনকাম করা থাকেন। বাংলাদেশের এরকম জনপ্রিয় কিছু অনলাইন কোর্স করে ইনকামের ওয়েবসাইট রয়েছে। Ten minutes school সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এটি একটি অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে বিভিন্ন ধরনের কোর্স করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ইনকাম করে থাকেন।
অনলাইনে কোর্স করা ইনকামের ধাপ
বিষয় নির্বাচন: বর্তমান সময়ে কোন বিষয়ে কোর্স করালে সবচেয়ে বেশি কোর্স বিক্রয় হবে। আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ। কোন বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ইনকাম করতে পারবেন। এই সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে জেনে যেখানে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। বর্তমান সময়ে কোর্স করার বিষয়গুলো হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স, ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স, অনলাইনে কোচিং, ওয়েব ডিজাইন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন ইত্যাদি।
কন্টেন্ট তৈরি: এবার আপনি যে সকল বিষয়ের কোর্স বিক্রয় করতে চান সেসকল বিষয়ের কোর্স তৈরি করতে হবে। আবার অনেকে সরাসরি লাইভ ক্লাস এর মাধ্যমে কোর্স করিয়ে থাকেন। সেটা সম্পূর্ণ আপনার কোর্স এর ধরনের উপর ডিপেন্ড করে।
অনলাইন কোর্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার: এবার আপনি কিভাবে কোর্স করাবেন যে সকল বিষয়ে ভাবতে হবে। যেমন আপনি যদি কোর্স তৈরি করে থাকেন তাহলে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ছাত্র-ছাত্রীরা কোর্স এর ডেমো দেখতে পারবেন। অথবা আপনি যে সরাসরি লাইভ ক্লাস করতে চান তাহলে একটি লাইক ক্লাস করানোর জন্য পুরো প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করবেন।
মার্কেটিং এবং বিক্রয়: সবশেষ আপনাকে কোর্স গুলো সবার কাছে পরিচিত করে তুলতে হবে। এর জন্য বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোর্স বিক্রয় করতে পারবেন। তারপর সে সকল কোর্সগুলো ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে বিক্রয় করবেন।
সতর্কতা: বর্তমান সময়ে অনেকেই কোর্স বিক্রয় করার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা করে থাকেন। তাই মানুষ এখন কোর্স বিক্রেতাদের বিশ্বস্ত হয়ে উঠতে পারে না। তাই আপনাকে অবশ্যই বিশ্বস্ত হতে হবে।

স্টক ফটোগ্রাফি বা ভিডিও বিক্রি করে ইনকাম

স্টক ফটোগ্রাফি এবং ভিডিও বিক্রি বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় আয়ের একটি উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফিতে আগ্রহী। বর্তমান সময়ে অসংখ্য ওয়েবসাইট বা কোম্পানি রয়েছে যাদের কাছে আপনি বিভিন্ন ফটোগ্রাফি বা ভিডিও বিক্রয় করতে পারবেন। এবং বর্তমানে এটি খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্টক ফটোগ্রাফি বা ভিডিও বিক্রি করে। অনলাইন ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হতে পারে।

ইনকামের ধাপ সমূহ

সঠিক বিষয়বস্তু নির্বাচন: বর্তমান সময়ের সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ফটোগ্রাফি বা ভিডিও চিহ্নিত করতে হবে। অর্থাৎ বর্তমান সময়ের যে সকল ফটোগ্রাফি বা ভিডিও বেশি জনপ্রিয় সেগুলো তৈরি করবেন।
উচ্চ মানের আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও তৈরি: সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও তৈরি করার চেষ্টা করবেন। সর্বদাই আকর্ষণীয় বিষয়বস্তু মানুষ বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন। তাই উচ্চমানের আকর্ষণীয় ছবি বা ভিডিও তৈরি করবেন।
বিক্রয়: উচ্চমানের ছবি বা ভিডিও তৈরি করার পর বিক্রয় করার জন্য প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করবেন। বর্তমান সময়ের ছবি বা ভিডিও বিক্রয় করার জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে । যার মধ্যে Shutterstock, Adobe Stock এবং iStock অন্যতম।
মন্তব্য: বর্তমানে অনলাইনে ছবি বা ভিডিও বিক্রি করে ইনকামের বিষয়টি লাভজনক হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার ভাল একটি ক্যামেরা সুন্দর ডিজাইন ইত্যাদি সকল বিষয়ে মনোযোগ হবে। তাহলে ভিডিও বা ছবি বিক্রয় করে ইনকাম করা সম্ভব।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়

বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম করার উপায় হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে আপনি অন্যের পণ্য বা পরিষেবার প্রচার করে কিছু কমিশন আয় করতে পারেন।
মনে করেন, আপনার পরিচিত একটি কোম্পানি রয়েছে। তারা তাদের পণ্য বিক্রয় করতে চায়। যদি তারা ভাবে যে তাদের পন্য অন্য কারো মাধ্যমে বিক্রয় করবে। তখন আপনি চাইলে তাদের পণ্য বিক্রয় করার মাধ্যমে কিছু কমিশন নিতে পারেন। অর্থাৎ তারা আপনাকে তাদের পণ্যের কিছু ছবি দিবেন। আর আপনি সে সকল ছবিগুলো অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করবেন এবং বিক্রয় করার চেষ্টা করবেন। আর প্রতিটি বিক্রয়ের মাধ্যমে তারা আপনাকে কিছু কমিশন দিয়ে থাকবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ধাপসমূহ

ক্যাটাগরি নির্বাচন করুন: আপনি কোন সমস্ত পন্য বিক্রয় করবেন তার ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। ক্যাটাগরি সিলেট করতে আপনাকে অবশ্যই বিক্রয় করার পণ্যগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। বর্তমান সময়ে কোন পণ্যের চাহিদা বেশি সেটাও জানা জরুরী।
ওয়েবসাইট তৈরি করুন: পণ্য বিক্রয়ের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ আপনি চাইলে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইটের মাধ্যমে পণ্যগুলো বিক্রয় করতে পারবেন। তাই যারা প্রফেশনালি বড় রকমের এফিলিয়েট মার্কেটার হন তারা ওয়েবসাইট তৈরি করেন। তবে নতুনরা সব সময় সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর মাধ্যমে মার্কেটিং করে থাকেন।
মার্কেটিং করা: এবার বিভিন্নভাবে আপনি আপনার পণ্যের জন্য মার্কেটিং করতে হবে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট যেমন ফেইসবুক, twitter , instagram এবং ইমেইল মার্কেটিং করার মাধ্যমে পণ্যের প্রচার করতে পারবেন।
পণ্য বিক্রয়: মার্কেটিং করার কিছুদিন যাবত ধৈর্য সহকারে মার্কেটিং চালিয়ে যাবেন। তার পরবর্তীতে আস্তে আস্তে বিক্রয় শুরু হবে। অর্থাৎ আপনার অ্যাফিলিয়েট পণ্যগুলো কাস্টমাররা কিনতে থাকবেন। আর কাস্টমারদের ক্রয়ের কিছু অংশ আপনি পাবেন।
মন্তব্য: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে অনেক ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। অ্যাপেলিয়েট মার্কেটিং এবং ড্রপশিপিং প্রায় একই কাজ। উবাই কাজের ক্ষেত্রে ধৈর্য সহকারে করতে হবে। তাহলেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সফলতা পাওয়া সক্ষম।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বা স্টক ট্রেডিং

বর্তমান সময়ে ক্রিপটো কারেন্সি বা স্টক ট্রেডিং খুবই জনপ্রিয়। ইনভেস্টমেন্ট করার জন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বা স্টক ট্রেডিং খুবই জনপ্রিয়। তবে এই কার্যক্রমটিতে কিছু ঝুঁকি রয়েছে। কারণ এই কাজটি সম্পন্ন বাজারের প্রকৃতির উপর নির্ভর করে। তাই আপনি যদি সময় না বুঝে ইনভেস্ট করেন তাহলে আপনি ইনভেস্ট হারিয়ে ফেলতে পারেন।

ক্রিপ্টোকারেন্সি বা স্টক ট্রেডিং করে আয়

ক্রিপ্টোকারেন্সি হচ্ছে ডিজিটাল বা ভার্চুয়াল মুদ্রা, যা ব্লকচেইন প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল । বর্তমান সময় কিছু জনপ্রিয় ক্রিপ্টা কারেন্সি হচ্ছে Bitcoin (BTC), Ethereum (ETH), Ripple (XRP) ইত্যাদি।
ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনে রাখা: প্রথমে আপনাকে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি প্ল্যাটফর্মে ক্রিপ্তোকারেন্সি ক্রয় করে রাখতে হবে। যাতে পরবর্তীতে ক্রিপ্তোকারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি পেলে সেটা বিক্রি করতে পারেন।
ট্রেডিং: নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ক্রিপ্টকারেন্সি ক্রয় করে রাখলে পরবর্তীতে বিক্রয় করতে পারেন। ডে ট্রেডিং এর ক্ষেত্রে সামান্য সময়ের জন্য ক্রিপ্টকারেন্সি ক্রয় করে। তারপর ক্রিপ্টোকারেন্সির মূল্য বৃদ্ধি পেলে বিক্রি করতে পারেন। তবে এটা খুব দ্রুত গতির বা অধিক লাভজনক হলেও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। অনলাইন ইনকাম করার উপায়
সতর্কতা: ক্রিপ্টোকারেন্সির এর মাধ্যমে ইনকামের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ইনভেস্ট করতে হবে। এবং এটি সময় উপযোগী ভাবে ইনভেস্ট করতে হবে। আপনি যদি অসময়ে ইনভেস্ট করেন তাহলে আপনার ক্রিপ্তোকারেন্সির মূল্য কমে গেলে লস হবে। তাই এ ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতার সাথে ইনভেস্ট করতে হবে।

লেখকের মন্তব্য:

আপনি যদি অনলাইনে ইনকাম করার কথা ভাবেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই অনলাইন ইনকামের খুঁটিনাটি জানতে হবে। আর ফ্রিল্যান্সিং কিংবা যে কোন কাজে আপনি দক্ষ হয়ে উঠলে ওই কাজটা আপনার জন্য সহজ হবে। তাই আপনি যদি কোন কাজ করার না করেন তাহলে অবশ্যই ওই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন। তাহলে দিনশেষে ভালো পরিমাণে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব।

অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এবং উপায় জানতে আমাদের এই Trickmi সাইটে ভিজিট করতে পারেন। গুগলে Trickmi লিখে সার্চ করলেই আমাদের এই সাইটটি পেয়ে যাবেন। আর অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত প্রশ্ন থাকলে Trickmi Q2Ans এ করতে পারেন।