আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজার ফজিলত

আশুরার রোজার ফজিলত । আরবি বর্ষপঞ্জিকার প্রথম মাস মহররম। যাকে আরবিতে বলা হয় মুহাররামুল হারাম। এই মাস নিয়ে রয়েছে অসংখ্য ফজিলতের হাদিস। এই ফজিলত কোন মাসের অন্যতম ইবাদত হচ্ছে আশুরার রোজা। আরে মাসের অন্যতম ফজিলতের দিন হচ্ছে আশুরার দিন। শুধু রোজা নয় আসরের দিনে আর ও অন্যান্য ইবাদত ও রয়েছে। এই পোস্ট থেকে আমরা – আশুরার রোজা কয়টি, আশুরার রোজার হাদিস, আশুরা সম্পর্কে কুরআনের আয়াত এবং আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জানতে পারবো।

আশুরা কি

আমাদের ইসলাম ধর্মের জন্য ঐতিহাসিক দিন হচ্ছে আশুরা। এই দিনে রয়েছে অসংখ্য ইতিহাস। পবিত্র মুহাররম মাসের ১০ তারিখে এই আশুরার দিন। এদিন হোসাইন ইবনে আলীর শাহাদাত বরণ করার দিন। তা একটি শোকের দিন হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন..

আশুরা কি? আশুরার রোজা কবে ২০২৪

আশুরার রোজা কয়টি

আশুরার রোজা নিয়ে অনেকেরই মত পার্থক্য রয়েছে। তবে এ নিয়ে অসংখ্য সহিত হাদিস থেকে প্রমাণিত হয় যে- আশুরার রোজা দুটি। আমরা জানি আশুরার দিন হচ্ছে ১০ই মহরম। তাহলে আশুরার রোজা দুটি হয় কিভাবে?

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন, আশুরার রোজা দুটি পালন করতে। একটি হচ্ছে ১০ই মহরম এবং অপরটি হচ্ছে নয় অথবা ১১ মহররমের যেকোনো একদিন। অর্থাৎ প্রথমে ৯ই মহররমের রোজা রাখার চেষ্টা করব। ঐদিন রোজা রাখলে ১০ই মহররমের রোজা সহ দুইটা রোজা পূর্ণ করব। আর ঐদিন রোযা রাখতে না পারলে দশই মহররমের রোজার সাথে ১১ই মহররমের রোজা রেখে দুইটি রোজা পূর্ণ করব।

আশুরার রোজার হাদিস

আশুরা সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি হাদিস রয়েছে। যার মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিচে উল্লেখ করা হলো।

আরো পড়ুন..

জিলহজ মাসের যেসব দিনে রোজা রাখা সুন্নত

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা’আলা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“রমজানের রোজার পর আশুরার রোজাই সর্বশ্রেষ্ঠ রোজা।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ১১৬২)

অন্য হাদিসে এসেছে,

আবু কাতাদাহা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,

একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

“আশুরার রোজা নিয়ে আমি আশা করি আল্লাহ তা’আলা এর মাধ্যমে গত বছরের গুনাহ মাফ করবেন।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস নম্বর: ১১৬২)

উপরোক্ত দুটি হাদিস আশুরার রোজা সম্পর্কিত সহি হাদিস। আমরা আশুরার রোজা সম্পর্কিত হাদিস পরেই বুঝতে পারি আশুরার রোজার ফজিলত সমূহ।

 

শেষ কথা: আশুরার রোজা

আশুরা আমাদের মুসলিমদের জন্য অন্যতম ইবাদতের দিন। বিশেষ করে এই দিন সহ আমরা নয় এবং 11 তারিখে যে কোন একদিন একটি রোজা সহ মোট দুটি রোজা রাখবো (ইনশাআল্লাহ)। এরপর আল্লাহতালা আমাদের অতীতের বছরের সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।

আশুরা সম্পর্কে জানতে আমাদের প্রশ্ন উত্তর ফোরামে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

Leave a Reply