আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় - আরাফার দিনের রোজা

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয় – আরাফার দিনের রোজা।

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয়

মুমিনদের ইবাদত করার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটি হলো আরাফার দিন। ঐদিন মহান আল্লাহ তা’আলা অসংখ্য গুনাগার থেকে গুনাহ থেকে মুক্ত করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফার দিন। এদিন হাজীগণ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন এবং সূর্যাস্তের জন্য অপেক্ষা করেন।

এটি হাজীগণের প্রধান রোকন।

 

আরাফার দিনের রোজা

আরাফার দিনের রোজা।
আরাফার দিনের রোজা ও দোয়া

আরাফার বাংলা অর্থ হচ্ছে চেনা অথবা জানা। আরাফা আরবি শব্দ। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ কে আরাফার দিন বলে। আর এই দিনের রোজাকে আরাফার দিনের রোজা বলে। দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি তওবা ও ক্ষমা করা দিবস। এদিন আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য গুনাগার থেকে গুনাহ থেকে মুক্ত করেন। আল্লাহ তাআলা অসংখ্য জাহান্নামকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। এই দিন হাজীগণ আরাফার ময়দানে অবস্থান করেন। এবং সূর্যাস্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। যারা রোজা রাখেন আল্লাহতালা এক বছর এবং সামনের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দেন। আরাফার দিনের রোজা মূলত একটি। অনেকেই বলে থাকেন যে আরাফার রোজা এতটি এতটি। আসলে হাদিসে উল্লেখ্য আছে আরাফার দিনের রোজা একটি। সেটা জিলহজ মাসে নয় তারিখের রোজা। যেহেতু জিলহজ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস। তাই কেউ চাইলে জিলহজ মাসের ১ তারিখ থেকে ৯ তারিখের মধ্যে রোজা রাখতে পারবে।

আরো পড়ুন..

কুরবানির পশু জবাই করার নিয়ম ও দোয়া ২০২৪

আরাফার দিনের ফজিলত

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয়

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হচ্ছে আরাফা দিবস। এ দিবস আল্লাহ তায়ালার কাছে একটি উত্তম দিবস। এ দিবসে আল্লাহ তায়ালা অসংখ্য গুনাগার থেকে গুনাহ থেকে মুক্ত করেন। এই দিনে আল্লাহ তায়ালা অনেক জাহান্নামকে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন। তাই এই দিনটির তাৎপর্য অনেক। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এই দিনটিকে উত্তম দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার কাছে এই দিনে রোজাদার ব্যক্তিদের আগে এবং পরের গুনাহ মাফ করার আশা করেন। এবং এই দিনের রয়েছে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ আমল। চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়া।

আরো পড়ুন..

সেরা ঈদ মোবারক স্ট্যাটাস, ক্যাপশন, মেসেজ ও এসএমএস ২০২৪

 

আরাফার দিনের আমল ও দোয়া

আরাফার দিনের ফজিলত ও করণীয়। আরাফা খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিবস। এই দিনে রয়েছে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ আমল। চলুন জেনে নেয়া যাক আরাফাত দিনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল ও দোয়া।

  1. শুদ্ধ নিয়ত: অর্থাৎ কোন ভালো আমল করলে তার একটি সুন্দর নিয়ত করা। কারণ আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভর করে। নিয়ত সহি হলে আমল কবুল হয়।
  2. ওযু অবস্থায় দোয়া করা: ওযু করা মানে হচ্ছে পবিত্র হওয়া। আর পবিত্র দের আল্লাহ তালা পছন্দ করেন। তাই তাদের দোয়া ও কবুল করেন। তাছাড়াও ওযু ছাড়া আল্লাহর কাছে দোয়া করা যায়।
  3. মোনাজাত দিয়ে দোয়া করা: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের হাত উঠিয়ে দোয়া করার কথা বলছেন। তবে নামাজ শেষে হাত উঠিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে কোন হাদিস পাওয়া যায়নি।
  4. আল্লাহর প্রশংসা ও নিজের গুনাহ উল্লেখ করা: দোয়া করার প্রথমে আল্লাহর কাছে শোকর আদায় করা তারপর নিজেদের প্রতিনিয়ত গুণাগুলোকে উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে মাফ চাওয়া।
  5. রসুল (স) এর প্রতি দরুদ পড়া। কেননা দুরুদ ব্যতীত দুয়ার ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। অর্থাৎ যেটা আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না।
  6. দোয়া করার সময় ইতস্তত না করা: সরাসরি আল্লাহর কাছে দোয়া করা। এরকম বলা যাবে না, হে আল্লাহ তুমি পারলে আমাদের মাফ করুন। বলতে হবে, হে আল্লাহ তুমি আমাদের মাফ কর।
  7. একিনের সাথে দোয়া করা: আল্লাহ আমাদের দোয়া কবুল করবেন সেটা বিশ্বাস রাখা। কেননা আল্লাহ তায়ালা নিজে আমাদের দোয়া কবুল করার ওয়াদা দিয়েছেন। তাই আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে দোয়া করব।

এছাড়াও আরাফার দিনের বিশেষ কিছু নীতিমের দোয়া করতে হবে। রয়েছে আরো অনেক রকমের আমল। চলুন দেখে নেওয়া যাক আরাফার দিনের তিনটি বিশেষ আমল।

আরো পড়ুন..

১০০ জন নবীর ও রসূলের নামের তালিকা

আরাফার দিনের বিশেষ ৩টি আমল

মুমিনদের জন্য আরাফার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই দিনে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই ইবাদত। চলুন দেখে নেওয়া যাক আরাফাত দিনের বিশেষ তিনটি আমল।

  1. আরাফার দিনে যারা হজ করছেন না তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হচ্ছে এই দিন নফল রোজা রাখা। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আরাফার দিনের রোজার বিষয়ে আমি আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা রাখি যে তিনি আগের এক বছরের এবং পরের এক বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১১৬২)
  2. আরাফার দিনে রাসুল সাঃ বিশেষ একটি দোয়া পাঠ করার নির্দেশ দিয়েছেন। দোয়া হচ্ছে এটি—‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শায়ইন কাদীর।’ (অর্থ) আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোনো শরিক নেই, রাজত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও একমাত্র তাঁর জন্য, আর তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩৫৮৫)
  3. রসুল সঃ এ দিন বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তেগফার পাঠ করতে বলেছেন। কারণ এই দিনের দোয়া সমূহ সর্বোত্তম। এ দিন আল্লাহ তায়ালা সকলের দোয়া কবুল করেন।

 

 

Leave a Reply