লোডশেডিং এর কারণ ও প্রতিকার
লোডশেডিং আমাদের বাংলাদেশের চিরপরিচিত শব্দ। আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত যে সমস্যার সৃষ্টি হয় তার মধ্যে অন্যতম এটি। লোডশেডিং মূলত বিদ্যুৎ ঘাটতির জন্য হয়ে থাকে। যা আমাদের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা সৃষ্টি করে। এই পোস্টে লোডশেডিং এর কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জানবো।
ভূমিকাঃ
লোডশেডিং হচ্ছে বিদ্যুৎ স্বল্পতার কারণে সৃষ্টি এক ধরনের সমস্যা। যে সমস্যার কারণে আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির মুখে এবং অসুবিধা পড়তে হয়। বর্তমানে আমাদের দেশে লোডশেডিং এর সমস্যাটি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সমস্যা আমাদের বিভিন্ন ধরনের কাজ এবং পারিবারিক জীবনে অসুবিধার সৃষ্টি করে। কারণ অতীতের বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারলেও বর্তমানে মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়া চলতে পারে না। তাই লোডশেডিং আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। চলুন জেনে নেই ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণ ও প্রতিকার কি?
ঘন ঘন লোডশেডিং এর কারণ কি ২০২৪
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ে ঘন ঘন লোডশেডিং দেখা দিছে। যার ফলে মানুষ বিভিন্ন অস্থিরতা ও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধান আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় আমাদের আরো ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। বাংলাদেশের ঘন ঘন লোডশেডি ং এর প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে উল্লেখ হচ্ছে –
আরো পড়ুন..
জ্বালানি সংকট: বর্তমানে বাংলাদেশে সারা বিশ্বের জ্বালানি সংকট দেখা দিচ্ছে। যার ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না । তাছাড়া বর্তমানে অধিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি হলে আরো কঠিন হচ্ছে।
চাহিদা বৃদ্ধি: ওদের তুলনায় বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত জনসংখ্যা অধিক হারে বৃদ্ধি হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদনের চাহিদা আরো কমে। যার ফলে লোডশেডিং সৃষ্টি হয়।
জ্বালানি আমদানি সমস্যা: বর্তমানে বাংলাদেশের জ্বালানে আমদানিতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যার কারনে বাংলাদেশ জ্বালানি সমস্যায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হচ্ছে।
দুর্নীতি: বাংলাদেশে ভয়াবহ লোডশেটিং এর পিছনে দুর্নীতির দায়ী করা যেতে পারে। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র রয়েছে। গ্রাহকদের দ্রুত বিদ্যুৎ বিল দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই গ্রাহকরা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিদ্যুৎ দিন পরিশোধ করেছেন। শুধু তাই নয় নিয়মের তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ বিল আদায় করা হচ্ছে। তারপরও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সরকার ঋণগ্রস্ত। তার প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি। আর বাংলাদেশের অতিরিক্ত লোডশেডিং এর প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা ২০২৪
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা আগে থেকেই। তবে ২০২৪ সালে সেই সমস্যা আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেননা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ঋণগ্রস্ত থাকায় অন্য দেশ থেকে কয়লা আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে। আর কয়লা আমদানিতে সমস্যার কারণে বাংলাদেশে প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সমস্যায় ভুগছে।
লোডশেডিং কিভাবে হয়
লোডশেডিং অর্থ হচ্ছে বিদ্যুৎ না থাকা অথবা কম থাকা। অর্থাৎ আমাদের বাসায় যদি নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকে সেটা হচ্ছে লোডশেডিং। লোডশেডিং কিভাবে হয়?
আমরা হয়তো অনেকেই জানি বিদ্যুৎ কয়লা জ্বালানোর মাধ্যমে উৎপন্ন করা হয়। তাই প্রতিনিয়ত অনেক কয়লা প্রয়োজন হয়। এই কয়লা গুলো বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। তারপরে এই কয়লা গুলো জ্বালানোর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়।
আরো পড়ুন..
কিন্তু যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম কয়লা আমদানি হয়। তখন প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। আর প্রয়োজন মত বিদ্যুৎ সাপ্লাই করতে সমস্যা হয়। এতেই লোডশেডিং এর সৃষ্টি হবে।
বাংলাদেশে লোডশেডিং এর কারণ
বাংলাদেশের লোডশেডিং এর কারণ ইতিমধ্যে আপনাদের উল্লেখযোগ্য করেছি। যেখানে বাংলাদেশের লোডশেডিং এর প্রধান কারণ হচ্ছে দুর্নীতি।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা প্রয়োজন হয়। অধিকাংশ কয়লা বাংলাদেশ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। আর এই আমদানিকৃত কয়লা গুলো দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ঋণ থাকায় কয়লা আমদানি করতে সমস্যা আছে। বিদ্যুৎ খাতের বিভিন্ন দুর্নীতি ও টাকা ছুটির কারণে প্রয়োজনে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে না। তাই মূলত বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সমস্যা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুন..
বাংলাদেশে লোডশেডিং এর সমাধান
বাংলাদেশের লোডশেডিং মুক্ত করতে প্রদান কাজ হচ্ছে দুর্নীতি মুক্ত করা। কারণ এই দুর্নীতির কারণে লোডশেডিং হয়েছে। দুর্নীতিটা কমাতে পারলেই বিদ্যুৎ খাতা সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সচ্ছল অবস্থা দেখা দিবে। আরে দুর্নীতি কমাতে পারলে অন্যান্য সমস্যাগুলো যেমন-কয়লা আমদানি, বিদ্যুৎ চাহিদা ইত্যাদি সমাধানে সম্ভব হবে।