241543903

GOOGLE সার্চের একটি মজার বিষয় 241543903 গুগলে ভাইরাল কেন

আপনাকে যদি বলা হয় “241543903” কি? আপনি হয়তো এক নিমিষে বলে দিবেন এটা একটা সংখ্যা। কিন্তু এই পোস্ট পড়ার পর আপনি হয়তো আরেকটি বিষয় জানতে পারবেন। তাই এই পোস্টে আপনি GOOGLE সার্চের একটি মজার বিষয় 241543903 গুগলে ভাইরাল কেন এবং একটি মজার গল্প জানতে পারবেন।

সূচনাঃ

বর্তমান সময়ের গুগলের অন্যতম ট্রেনিং বিষয় “241543903” সংখ্যাটি। প্রতিনিয়ত মানুষ সংখ্যাটিকে গুগলে সার্চ করে। আসলে এই সংখ্যাটি মানুষ কেন সার্চ করে এবং এর পিছনে কি রহস্য রয়েছে? চলুন এর রহস্য উদঘাটন করা যাক।
241543903‘ এর রহস্য উদঘাটন করতে হলে অবশ্যই আমাদের এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। এটি কেন google এত জনপ্রিয় হয়েছে? এর পেছনে সঠিক ব্যাখ্যা জানতে পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

২৪১৫৪৩৯০৩ এর ইতিহাস

241543903” এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হলে আপনি অবশ্যই সংখ্যাটিকে গুগলে সার্চ করবেন। সংখ্যাটি গুগল সার্চে হয়তো একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন। সেটা হচ্ছে এই সংখ্যাটি গুগলের সার্চ করলে কিছু অদ্ভুত মানুষ দেখতে পারবেন।

এর জন্য প্রথমে আপনি সংখ্যাটি গুগলের সার্চ করুন। তারপর সার্চ এর রেজাল্ট গুলোর কিছু ছবি দেখুন। ছবিগুলোতে দেখতে পারবেন কিছু মানুষ ফ্রিজের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে রেখেছেন। এরকম কিছু ছবি।

আরো পড়ুন..

জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ইতিহাস

এখন আপনার ভাবনা আসতে পারে আসলে কেন মানুষ ফ্রিজের মধ্যে ছবি তুলে শেয়ার করে। আর এই ছবিগুলো কেন “241543903” সংখ্যাটি সার্চ করলে আসবে? আসলে এটার রহস্য কি? চলুন সেই সংখ্যাটির রহস্য এবং ব্যাখ্যা জেনে আসি। GOOGLE সার্চের একটি মজার বিষয় 241543903 গুগলে ভাইরাল কেন ?

সংখ্যাটির পেছনের ব্যাখ্যা

সময়টা তখন ২০০৯ সাল। নিউ ইয়র্কের ফটোগ্রাফার ও শিল্পী ডেভিড হোরভিট্জ। অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন শৈল্পিক কার্যকলাপ এর সাথে জড়িত পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে ফটো তুলেন। সেই সময় তার মাথায় একটি হাস্যকর/অদ্ভুত/মজার পরিকল্পনা আসে।

ডেভিড হোরভিট্জ

তিনি একটি ফ্রিজের মধ্যে মাথা ঢুকে ছবি তোলেন এবং ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। instagram এ আপলোড করার সময় হ্যাশট্যাগ হিসেবে “241543903” ব্যবহার করেন। একই সাথে তিনি তার বন্ধুদেরও ফ্রিজের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে ছবি তুলে instagram এ এই হ্যাসট্যাগ ব্যবহার করে আপলোড করতে বলেন।

এভাবে তিনি থেমে থাকেননি। বন্ধুদের পর একটি ব্লগে সবাইকে একই কাজ করতে বলেছেন। অর্থাৎ সবাই ফ্রিজে মাথা রেখে ছবি তুলে সংখ্যাটিকে হ্যাশটাক হিসেবে ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করবে। এভাবেই এক সময় সংখ্যাটির জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তারপর থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ এই ট্রেন্ডে অংশগ্রহণ করেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ‘২৪১৫৪৩৯০৩‘ এটি কেন দেওয়া হল। সেখানে অন্য কোন নাম্বার/সংখ্যা দেওয়া যেত। আসলে সে বিষয়ে একটা বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২৪১৫৪৩৯০৩ সংখ্যাটি ছিলো ডেভিডের ফ্রিজের সিরিয়াল নম্বর, কিছু এলোমেলো সংখ্যা, এবং বন্ধুদের ফোন নম্বরের কিছু সংখ্যার অংশ মিলে তৈরি। GOOGLE সার্চের একটি মজার বিষয় 241543903 গুগলে ভাইরাল কেন

কেন এটি ভাইরাল হয়ে যায়?

যেহেতু ডেভিড হোরভিট্জ একজন শৈল্পিক লোক ছিলেন। অর্থাৎ তিনি বিভিন্ন নতুন নতুন শিল্প আবিষ্কারে পছন্দ করতেন। অন্যদিকে তিনি ছিলেন একজন ফটোগ্রাফার।
এখানে ফটোগ্রাফার কাজ হচ্ছে ছবি তোলা। আর শৈল্পিক ব্যক্তির কাজ হচ্ছে বিভিন্ন শিল্প সম্পর্কে জানা। নতুন নতুন শিল্পা আবিষ্কার করা। সব মিলিয়ে ডেভিড হোরভিট্জ এমন একটি শিল্প আবিষ্কার করলেন যেখানে নিজের শৈল্পিক প্রতিভা দেখালেন এবং ফটোগ্রাফার হিসেবে ফটো তুললেন।

আরো পড়ুন..

আমি এখন কোথায় আছি তা জানবো কিভাবে

আর এই শৈল্পিক কার্যক্রম ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পছন্দ হয়। যার কারণে সবাই এই ট্রেন্ডে যোগ দিতে আগ্রহী হয়। এবং একপর্যায়ে এটি ভাইরাল হয়ে যায়।

আপনি 241543903 ট্রেন্ডে যোগ দিতে পারেন

ডেভিড হোরভিট্জ এর এই ট্রেন্ডে আপনিও যোগ দিতে পারেন। এর জন্য আপনি তিনি যে কাজগুলো করতে বলেছেন সেম কাজ করবেন।

  1. প্রথমে ফ্রিজের মধ্যে মাথায় ঢুকিয়ে একটা ছবি তোলা।
  2. ছবিটি অনলাইনে আপলোড এবং হ্যাশট্যাগ “241543903” ব্যবহার।

আর এভাবেই অন্যেরা এই সংখ্যাটি সার্চ করলে আপনাকে গুগলে খুঁজে পাবে।

মন্তব্যঃ

আসলে সংখ্যাটি কোন উপকারিতা বা অপকারিতার জন্য নয়। শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। ডেভিড হোরভিট্জ এর উদ্দেশ্য ছিলো মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করা এবং কিছু অদ্ভুত মজার কন্টেন্ট তৈরি করা, যা দেখতে মজার এবং বিভ্রান্তিকর হবে।

Leave a Reply