২০২৪ সালের কোরবানির ঈদ কখন।
কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪। এই ব্যাপারে অনেক মুসলিম ভাই-বোনেরা জানতে চান। প্রতিবছরের মত এই বছরো ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।
মুসলিমদের অন্যতম খুশির দিনের মধ্যে ঈদুল আযহা অন্যতম। আজকে বাংলাদেশে ঈদুল আযহা ২০২৪ পালন সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। ঈদুল আযহা কবে অনুষ্ঠিত হবে? ঈদুল আজহার ইতিহাস, সৌদি আরবে ঈদুল আযহা কবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
ঈদুল আযহা আরবি জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। আর এই বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখ হচ্ছে জুন মাসের 16 তারিখ। যদিও এটা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পরেই আমরা ঈদ পালন করে থাকি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান দিনগুলো র পরে ঈদ পালন করে থাকি।
ঈদুল আযহা সম্পর্কে বিস্তারিত
ঈদুল আযহা মুসলিমদের জন্য দ্বিতীয় খুশির দিন। ঈদুল ফিতরকে মুসলিমদের প্রথম আনন্দের দিন হিসেবে ধরা হয়। আরবি বছরের সর্বশেষ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। আর এই মাসের ১০ তারিখেই ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়।
আর কিছুদিন পর এই মুসলিম ভাই-বোনদের দ্বিতীয় খুশির আসবে। আমরা অনেকেই কুরবানীর ঈদ নামে চিনে থাকি ঈদুল আযহাকে। কারণ ঈদুল আযহায় পশু কুরবানী করা হয়। ঈদুল আযহা হচ্ছে ত্যাগের উৎসব। এই দিনে মুসলিম গন ফজর এবং যোহর এর মধ্যবর্তী সময় দুই রাকাত ঈদের নামাজ আদায় করেন।কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ । নামাজ আদায়ের সময় সকল মুসলিম ভাইয়েরা সম্মিলিত হন। এবং সবাই মুসাবা ও কোলাকুলি করেন। নামাজ শেষে যাদের উপর কুরবানী ফরজ হয়েছে তারা কুরবানীর কাজ শুরু করেন। কোরবানির জন্য উপযুক্ত পশু হচ্ছে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া, দুম্বা এবং উট সহ সকল হালাল পশু। এ সকল হালাল প্রাণীগুলো আল্লাহর কাছে কুরবানী করা হয়।
২০২৪ সালের কোরবানির ঈদ কবে?
ঈদ সম্পর্কে সকল মুসলিম ভাইবোনদেরকে আগ্রহ থাকে। কারণ এই হচ্ছে মুসলিমদের উৎসবের দিন। তাই ঈদ সম্পর্কে সকল খুঁটিনাটিক জানাও মুসলিমদের কর্তব্য। অনেকেই জানতে চান কোরবানির ঈদ কবে ২০২৪ আরবি জিলহজ ্ব মাসের ১০ তারিখে প্রতি বছরেই ঈদুল আজহা উদযাপন হয়।
আরো পড়ুন…
সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ উঠেছে ২০২৪
সেক্ষেত্রে এই বছর ও ব্যতিক্রম হবে না। ক্যালেন্ডার ওর চাঁদ দেখা অনুযায়ী এই বছর জিলহজ মাসের দশ তারিখে ইংরেজি জুন মাসের 16 তারিখ হবে। এই সময় অনুযায়ী সৌদি আরবে ঈদ উদযাপন হবে।২০২৪ সালের কোরবানির ঈদ কবে?
ঈদুল আজহা ২০২৪ কত তারিখে সৌদি আরব
সৌদি আরবের ঈদ কবে এ বিষয়ে আমাদের বাংলাদেশী মুসলিম ভাই ও বোনেরা জানতে চাই। কারণ সাধারণত সৌদি আরবের ঈদের উপর নির্ভর করেই আমাদের দেশের ঈদ পালন করা হয়। তাছাড়াও আমাদের দেশের অসংখ্য কর্মজীবী সৌদি প্রবাসী। তাই তারা সৌদি আরবের ঈদ সম্পর্কে জানতে চাই। ১০০ ভাগ মুসলিম রাষ্ট্র। তাই এখানে সবাই ঈদ পালন করে থাকেন। সবাই ঈদের খোজ খবরে আগ্রহী। ঈদুল ফিতর পালিত হয় নতুন মাসের শুরুতে। তাই আমাদের ঈদুল ফিতরের সঠিক তথ্য তার একদিন আগেই জানতে হয়। কিন্তু ঈদ উল আযহা পালিত হয় ১০ তারিখে । অর্থাৎ ঈদের ১০ দিন আগে আমরা বলে দিতে পারি কোন দিন ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে। এরকম প্রেক্ষাপটে বলা যায় যে, এই বছর সৌদি আরব ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে। অর্থাৎ ইংরেজি জুন মাসের 16 তারিখ।
ঈদুল আযহা ২০২৪ কত তারিখে বাংলাদেশ
ঈদ উৎসব পালন সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম আমাদের চাঁদ দেখে ঈদ পালন ও চাঁদ দেখে আরবি মাস গণনার করার কথা বলেছেন। তাই আমরা সম্পূর্ণ চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল হবো। তবে সাধারণত সৌদি আরব এর একদিন পরেই বাংলাদেশের চাঁদ দেখা যায়। তাই যেখানে ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ সৌদি আরবের পরের দিন থেকে শুরু হয়। এই বাঁচার সৌদি আরব মাসের 16 তারিখ ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হয়েছে। সেই অনুযায় ী বাংলাদেশ ে ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হবে জুন মাসের 17 তারিখ।
কুরবানির ঈদের ইতিহাস এবং ঈদুল আযহার ইতিহাস
প্রত্যেকটা জিনিসের পিছনে কিছু ইতিহাস রয়েছে। মুসলিম হিসেবে আমাদের কোরবানির ঈদের ইতিহাস জানতে হবে। ইসলাম ধর্মের বিভিন্ন হাদিস অনুযায়ী, ‘আল্লাহ তাআলা তার প্রিয় নবী হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামকে স্বপ্নে দেখিয়েছিলেন যে তিনি যেন তার প্রিয় বস্তুটি আল্লাহর রাস্তায় কোরবানি করেন। তখন তাহার সবচেয়ে বেশি প্রিয় বস্তু ছিল হযরত ইসমাইল (আ) । অতঃপর একপর্যায়ে তুমি পুত্রকে কুরবানী করার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। এবং আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে একটি দুম্বা কুরবানী করলেন। আর তখন থেকেই কুরবানীর চলন এবং ঈদুল আযহার শুরু।
জিলহজ্ব মাসের রোজা এবং আরাফাতের রোজা
আরবের সর্বশেষ মাস হচ্ছে জিলহজ মাস। আর এই মাসেই ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হয়। তাই এই মাসটি একটি ফজিলত পূর্ণ মাস। এই মাস জরে রয়েছে অনেক রকমের ইবাদত। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ কে আরাফাতের দিন বলা হয়। এই মাসে হাজিগন হজ করতে মক্কা আসেন। এবং ৯ই জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করেন। এই দিনটিতে হাজীগণ রোজা রাখেন এবং আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করেন।
হাদিসে আছে, ‘একদা এক লোক রাসূল (স) কে জিজ্ঞেস করেন, জিলহজ্ব মাসের ৯ তারিখে আমরা যে রোজাটি রাখি সেটা কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?
তখন রসূল (স) বলেন, ‘ কেউ যখন জিলহজ মাসের ৯ তারিখ রোজা রাখেন আল্লাহ তার অতীতের এক বছরের ভবিষ্যতের এক বছরের গুনাহ মাফ করে
আরো পড়ুন..
শেষ কথা: কোরবানির ঈদ সম্পর্কে
কোরবানির ঈদ প্রত্যেক মুসলিম ভাই-বোন দের জন্য খুশির দিন। তবে অনেক বিধর ্মী বন্ধুরাও এ ধর্মীয় উৎসব অংশগ্রহণ করেন। ঈদ আসলে খুবই ভালো লাগে। তাই আপনাদের কাছে ঈদ নিয়ে কিছু তথ্য বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করলাম। আশা করি এর কাছে সঠিকভাবে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে পেরেছি। আপনার যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই পোস্টটি আপনার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করে দিন।
আমরা যারা ব্লগিং করে ইনকাম করতে চাই। তাদের জন্য টিউটোরিয়াল শুরু করা হয়েছে। ওয়েবসাইট তৈরি করা থেকে ইনকাম পর্যন্ত সম্পূর্ণ গাইড লাইন দেখানো হবে।
পবিত্র ঈদুল আযহার দাওয়াত রইলো।