মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স কী, কীভাবে ছড়ায়
এমপক্স রোগের লক্ষণ
আমরা প্রতিনিয়ত অনেক রোগ ব্যাধির সাথে পরিচিত হই। দেখতে দেখতে বর্তমান সময়ে অসংখ্য রোগ ব্যাধির জন্ম হয়েছে। সম্প্রীতি সময়ে একটি রোগের ব্যাপক ছড়ানোর খবর পাওয়া যাচ্ছে। রোগটির নাম হচ্ছে মাঙ্কি পক্স। যাকে সংক্ষিপ্ত আকার এমপক্স ও বলে থাকে।
এমপক্স কি?
মাঙ্কিপক্স কী ? এমপক্স হচ্ছে এক ধরনের ভাইরাস জাতীয় ভাইরাল রোগ। যা পূর্বে মাস্কি পক্স নামে পরিচিত ছিল। এটা এক ধরনের পক্স ভাইরাসের কারণে ছড়ায়। ভাইরাস এর নাম হচ্ছে মাস্কি পক্স। মাস্কি পক্স মূলত বানর এবং ছোট ছোট পশুদের মধ্যে দেখা যায়। তবে বর্তমানে এটি মানুষের মধ্যেও সংগ্রামের আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং বর্তমানে এটি মানুষকেও সংক্রামিত করছে। প্রথমে একটি পশু থেকে সংক্রামিত হলেও বর্তমানে মানুষ থেকে মানুষের সংক্রামিত হচ্ছে। এই ভাইরাসজনিত রোগ ছোট হলেও এর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে।
আরো পড়ুন..
মাঙ্কিপক্স কীভাবে ছড়ায়
অতীতে এটি পশু থেকে পশুর মধ্যে সংক্রমণ হলেও বর্তমানে একটি মানুষ থেকে মানুষের শরীরে সংক্রামিত হচ্ছে। মাস্কি পক্স ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বকের স্পর্শে এলে অন্য ব্যক্তি সংক্রামিত হতে পারে। মাস্কি পক্স আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস এর মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। মাস্কি পক্স আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত বস্তু অন্য ব্যক্তির ব্যবহার করার ফলেও মাস্কি পক্স ছড়িয়ে পরতে পারে। গর্ভবতী মায়ের সন্তানের ও এই মাস্কি পক্স সংক্রমণ হতে পারে। তাছাড়াও মাস্কি পক্স আক্রান্ত কোনো পশুর স্পর্শে এলে ওই পশু থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।
মাঙ্কিপক্স এর লক্ষণ
এমপক্স রোগের লক্ষণ সাধারণত ৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে দেখা যেতে পারে। এবং এটি প্রায় গুটি বসন্ত রোগের মত দেখা যায়। তবে গুটি বসন্ত অপেক্ষায় তেমন ক্ষতিকর নয়। এর লক্ষণ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে।
- হঠাৎ করে উচ্চ মাত্রায় জ্বর আসতে পারে
- তীব্র মাথা ব্যাথা হতে পারে
- শরীরের বিভিন্ন স্থানে বেশি ব্যথা হতে পারে
- ক্লান্তি অনুভব ও শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে
- লিম্ফ নোড, বগল ফুলে যেতে পারে
- জ্বর আসার ১-৩ দিনের মধ্যেই ত্বকে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
- ফুসকুরি আস্তে আস্তে বড় হয়ে পূজা পানি বের হতে পারে।
আরো পড়ুন..
মাঙ্কি পক্স প্রতিকার ও প্রতিরোধ
মাস্কি পক্স প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করার জন্য আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে।
প্রতিকার
পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা। জ্বর ও মাথা ব্যথার নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। আশঙ্কা দেখে আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। সংক্রামিত ব্যক্তি হতে দূরে অবস্থান করা ইত্যাদি।
প্রতিরোধ
মাস্কি পক্স প্রতিরোধ করার জন্য প্রথমেই সংক্রামিত ব্যক্তিকে আলাদা করে রাখা প্রয়োজন। সংক্রামিত ব্যক্তির কোন কিছুই ব্যবহার না করা। সংক্রমণ নিয়ে ভয় না পাওয়া। নিয়মিত নিজে এবং ব্যবহৃত বস্তু পরিষ্কার রাখা। পশু এরিয়া চালায় এবং প্রয়োজন হলে টিকা গ্রহণ করা।