বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

আমাদের পেটে অনেক রকমের সমস্যা হয়। যার মধ্যে একটি হচ্ছে বমি। পেটের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য বমি হয়। তবে বমি কোন কঠিন রোগ নয়। তাই বমি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বমি আমাদের প্রতিনিয়ত সবার হয়ে থাকে। তাই এই পোস্টে বমি হওয়ার কারণ এবং বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

ভূমিকাঃ

বমি আমাদের পেটের অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য হয়ে থাকে। এটি একটি স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ও সমস্যা। যা অনেক রকম কারণ হয়ে থাকে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো হচ্ছে খাবারে বিষক্রিয়া, সংক্রমণ, মাইগ্রেন, গর্ভাবস্থা, বা অন্য যেকোনো শারীরিক সমস্যা। এই কারণগুলো সম্পর্কে নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।

বমি সাধারণত আমাদের তেমন বেশি কিছু ক্ষতি করে না। তবে বমি আমাদের বিভিন্ন মারাত্মক রোগের উপসর্গ হিসেবে আসতে পারে। তাই বমি আমাদের বিভিন্ন কিছুর সিগন্যাল দিতে পারে। বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হিসেবেও বমি হতে পারেন। আমরা যখন একটি রোগের সকল উপসর্গের সাথে মিল পাবো তখন ওই রোগ সম্পর্কে সচেতন থাকব।

আরো পড়ুন..

প্রচন্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়

সে ক্ষেত্রে যে সকল রোগের লক্ষণ বমি, আমাদের বমি হলেও সকল রোগগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকবো। তাহলে আমাদের জানতে হবে বমি হওয়ার কারণ সম্পর্কে।

বমি হওয়ার কারণ

বমি হওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আর এই কারণগুলো আমাদের পেটের সাথে সংযুক্ত। যখন আমাদের পেটের মধ্যকার কোন অস্বাভাবিক কিছু ঘটে তখনই বমি হতে পারে। বমি হওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ গুলোর মধ্যে:
খাবারে বিষক্রিয়া: অনেক সময় আমাদের খাবারগুলো নষ্ট হয়ে যায়। আর আমরা যখন খাবারগুলো না বুঝে খাই তখন এই খাবারগুলোর বিষক্রিয়ার ফলে বমি হতে পারে।
ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ: পেটের ইনফেকশন বা ফ্লু হলে বমি হতে পারে।
গর্ভাবস্থা: প্রথম দিকে গর্ভবতী নারীদের প্রায়শই বমি হয়, যা “মর্নিং সিকনেস” নামে পরিচিত।
মাইগ্রেন: মাথাব্যথার সঙ্গে বমি বোধ হতে পারে।
মেডিকেশন: কিছু ঔষধ সেবনের পর বমি হতে পারে। এই পাওয়ারের ওষুধ খেলে বমি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বার বার বমি হলে করণীয়

বমি হওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সতর্ক থাকার জরুরী। আসলে এই বমির প্রকৃতি এবং লক্ষণ। তার পরবর্তীতে যদি আমরা বুঝতে পারে এটি কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে তাহলে ওই রোগের চিকিৎসা করানো।
অথবা যদি সাধারণ বমি হয়ে থাকে তাহলে নিচের কাজগুলো করার জরুরী।

আরো পড়ুন..

সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?

  1. হাইড্রেশন বজায় রাখা: প্রচুর পানি বা ইলেকট্রোলাইট ড্রিঙ্ক পান করা উচিত যাতে শরীরের পানির অভাব পূরণ হয়।
  2. শুকনো খাবার খাওয়া: যেমন ক্র্যাকার বা টোস্ট খেতে পারেন, যা পেটে সহজে বসবে।
  3. মসৃণ খাবার খাওয়া: স্যুপ বা ফলের রস খেতে পারেন, যা সহজে হজম হয়।
  4. বাইরের খাবার এড়িয়ে চলা: বাইরের তেল-মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত।
  5. বিশ্রাম নেওয়া: বমির পর শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত।

বমি হলে কি ঔষধ খেতে হবে

বমি হলে সরাসরি কোন ওষুধ না খাওয়া উচিত। কারণ এই বমি যদি সাধারণ কারণে হয়ে থাকে তাহলে একাধিকবার না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যদি একাধিকবার বমি হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণত ডাক্তার নিচের ওষুধ গুলো পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
ডোমপেরিডন বা মেটোক্লোপ্রামাইড: সাধারণ ডাক্তারগন বমি হওয়ার ক্ষেত্রে সকল ওষুধ খেতে বলবে।
স্যালাইন: বমি হলে পানি শূন্যতা হয়। এই পানি শূন্যতা দূর করার জন্য স্যালাইন খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত না

বমি হলে কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, যেমন:
তেল ও মসলাযুক্ত খাবার: হজমের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
দুগ্ধজাত খাবার: কখনো কখনো বোমির পর পেটের সমস্যা করতে পারে।

আরো পড়ুন..

সুস্বাস্থ্যের জন্য কোন কোন খাবার খাওয়া উচিত?

ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল: এই ধরনের পানীয় পেটে আরো অস্বস্তি সৃষ্টি করতে পারে।
মশলাযুক্ত খাবার: যেকোনো মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত, কারণ এটি পেটে জ্বালাপোড়া সৃষ্টি করতে পারে।

লেখকের মন্তব্য:

বমি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে খাবার স্যালাইন খেতে পারেন। একাধিকবার বমি হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। তাই দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। যতটুকু সম্ভব হালকা সহজপচ্য খাবার খাওয়া উচিত।

আরো পড়ুন..

নবজাতক শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

আপনার প্রয়োজনে যেকোনো সময় ভিজিট করুন Trickmi.com ওয়েবসাইট।

One thought on “বমি হলে কি খাবার খাওয়া উচিত

Leave a Reply