দাবানল কি এবং নিয়ন্ত্রণের উপায়
দাবানল কথাটি শুনলেই মনের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। নাম শুনলেই বুঝা যায় এটি খুব ভয়ানক কিছু। প্রায় সময় আমরা খবরা-খবরের দাবানলের কথা শুনে থাকে। প্রায় সময়েই পৃথিবীর ফুসফুস amazon জঙ্গলে দাবানলে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। যদিও এটি আমাদের বাংলাদেশে দেখা যায় না। পশ্চিমা অন্যান্য স্থানে দেখা যায়। তবে তারপর আমাদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরী। তাই এই পোস্টে আমি দাবানল কি এবং নিয়ন্ত্রণের উপায় সহ আরো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
ভূমিকাঃ দাবানল কি
দাবানল নিয়ে জানতে হলে শুরুতে আমাদের দাবানল কি সেটা জানতে হবে। এবং আস্তে আস্তে আমরা কারণ প্রতিকার ও ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্ক বিস্তারিত জানতে পারবো।
দাবানল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যেখানে বিভিন্ন বনভূমি সহ আবাসস্থল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বহু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আরে টিপ প্রাকৃতিক ভারসাম্যতার কারণে হয়ে থাকে। সাধারণ আমরা কোথাও আগুন লাগলে যতটুকু পড়তে দেখি দাবানল তার থেকে অনেক বেশি পুড়ে। যা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে।
আরো পড়ুন..
আমরা নিউজ শুনলে হয়তো জানতে পারবো মাঝে মাঝেই amazon বনে দাবানলে অনেক গাছ ও জঙ্গলপুরে ছাই হয়ে যায়। যেখানে অসংখ্য দমকল কর্মী শত চেষ্টার পরও সহজে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে না। সম্প্রীতি আমেরিকার কালিফোর্নিয়াতে কিরকম একটি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। তাই আমাদের যারা প্রবাসী ভাইয়েরা তাদের গুরুত্বপূর্ণভাবে দাবানল সম্পর্কে জানা জরুরী। যাতে আমরা নিজের এবং অন্যদের দাবানল থেকে সেফ করতে হয়।
দাবানল সৃষ্টির কারণ
দাবানল একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তবে এটি আমাদের অসচেতনাতার কারণেও হতে পারে। কিছু কারণে দাবানল হতে পারে।
বজ্রপাতের ফলে শুষ্ক ঘাস বা গাছপালায় আগুন লেগে দাবানল সৃষ্টি হতে পারে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রা এবং শুষ্ক বাতাসও দাবানলের প্রধান প্রাকৃতিক কারণ।
আরো পড়ুন..
তাছাড়াও মানুষের লাগানো আগুনের ফলেও দাবানোর সৃষ্টি হতে পারে। সাধারণত অধিক তাপমাত্রা যুক্ত এলাকায় দ্রুত দাবানল সৃষ্টি হয়।
অনেক সময় যুদ্ধ লাগার ফলে দাবানল সৃষ্টি হয়। তাছাড়া ও ছোট ছোট ক্ষেত্রেও দাবানোর সৃষ্টি হতে পারে। দাবানল কি এবং নিয়ন্ত্রণের উপায়
দাবানল নিয়ন্ত্রণের উপায়
দাবানল খুবই ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তাই এটি সৃষ্টি হওয়ার আগেই আমাদের সচেতন হতে হবে। যাতে এটি সৃষ্টি হতে না পারে। কারণ এটি একবার শুরু হয়ে গেলে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তাই চলুন আমরা জেনে আসি দাবানল যাতে সৃষ্টি না হয় তাই করনীয়।
উচ্চ তাপমাত্রায় এলাকায় আগুন ব্যবহার থেকে বিরত থাকব।
বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ যেগুলো আগুন ধরতে পারে তা সাবধানে ব্যবহার করব।
নিয়মিত পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবো এবং সতর্ক থাকবো।
দাবানল জুঁকিপূর্ণ এলাকায় সর্বদা আগুন নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এবং সতর্ক থাকবা।
আগুন প্রতিরোধের জন্য পানির সুব্যবস্থা করব।
দাবানল হলে করণীয়
- দাবানল হলে প্রথমে আমাদের সতর্কতার সাথে নিরাপদ স্থানে যেতে হবে।
- সম্ভব হলে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে নিব।
- সরকারি সহযোগিতা নেওয়ার জন্য ইমার্জেন্সি কল করব।
- অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও দমকল বাহিনীর সাথে যৌথভাবে কাজ করব।
দাবানলের ফলাফল
দাবানলের ফলাফল খুবই ভয়ানক। এতে প্রাণহানি কম হলেও আর্থিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দাবানল মূলত যেখানে শুরু হয় সেই এলাকার মূল্য শূন্য টাকায় নিয়ে আসে। কারণ তা বানালে কোন কিছুই নষ্ট হওয়ার বাকি থাকে না। তবে সতর্ক থাকলে দাবানল থেকে প্রাণ বাঁচানো সম্ভব।
শেষ কথা
দাবানল একটি ধ্বংসাত্মক দুর্যোগ হলেও, যথাযথ সচেতনতা এবং প্রযুক্তির প্রয়োগের মাধ্যমে এর ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সম্প্রীতি আমেরিকার লস এঞ্জেলস শহরে দাবানলে পুরোসহ ধুলিসাৎ হয়ে যায়। আর এ বিষয়ে যারা আগে থেকেই সতর্ক ছিলেন তারা দাবানলে কিছুটা হলেও অন্যদের থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এরিয়া চলতে পারছেন। অনেকেই নিজেদের বাড়িঘর দাবানল থেকে রক্ষা করতে পারছেন। তাই আসুন আমরা দাবানল সম্পর্কে সঠিক তথ্য জেনে সচেতন হই।