তীব্র গরমে নিজের অজান্তেই যে সব ভুল করি

বৈশাখের কাঠফাটা রোদে অতিষ্ঠ জনজীবন বৈশ্বিক উস্কায়নের কারণে বর্তমান দেশের তাপমাত্রা অধিক অনুপোযোগী। এইরকম মারাত্মক গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে যায় আবার অনেকের জীবন ও চলে যায়। Ways to escape the heat । এরকম অবস্থায় অনেকেই আক্রান্ত হয় হিটস রোগে। দেবদাসের সময় প্রাণ যায় অনেক মানুষের ও। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস নামক গ্রন্থি মানুষের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় মানুষের শরীর থেকে ঘাম নির্গত করে মানুষের শরীর এর তাপমাত্রা কমায়। এই গ্রন্থি ঠান্ডায় বিভিন্ন হরমোন কে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত না লিখে সংকোচন করে এবং তাপমাত্রা বাড়ায়। আর এভাবেই শরীরের ভেতর তাপমাত্রা ঠিক থাকে।
হিটস রোগ হলে শরীরের ভেতর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করী গ্রন্থি নষ্ট হয়ে যায়। তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াসের উপর হলে এই অবস্থা হতে পারে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে ঘামানো বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যক্তির চেতনা নষ্ট হয়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগতে হয়। আর এইরকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতে একেবারে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করে অথবা খাই। আর এটাই অন্যতম ভুল। আমরা যখন অতিরিক্ত গরমে থাকি আমাদের শরীর সেটাকে সহ্য করার ক্ষমতা তৈরি করে। অর্থাৎ সেই আবহাওয়ার মতনই শরীর গঠন হয়। কিন্তু হঠাৎ যখন একেবারে ঠান্ডা পানিতে গোসল করি অথবা খাই। সেটা আবার গরম তাপমাত্র হতে দ্রুতই ঠান্ডা তাপমাত্রায়। এভাবে হঠাৎ তাপমাত্রা অধিক পরিবর্তন হওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। এতে হিট স্টক রোগের প্রবণতা আরো বেড়ে যায়। তাই আমাদের উচিত অতিরিক্ত গরম তাপমাত্রা থেকে সরাসরি বেশি ঠান্ডা তাপমাত্রায় না গিয়ে সাধারণ তাপমাত্রায় কিছুক্ষণের জন্য থাকা। এরপর ঠান্ডা তাপমাত্রায় আশা।

আরো পড়ুন

বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করুন Online incom

SSC পরীক্ষার রেজাল্ট দেখার সঠিক নিয়ম ২০২৪।

One thought on “তীব্র গরমে নিজের অজান্তেই যে সব ভুল করি

Leave a Reply