ভারত বাংলাদেশের সীমারেখার নাম কি
বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী দেশ হচ্ছে ভারত। বাংলাদেশের প্রায় তিন দিকে ভারতের ভূমি অবস্থিত। অর্থাৎ বাংলাদেশের তিন দিকে ভারত অবস্থিত। তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সীমান্ত সবচেয়ে বেশি। প্রায় তিন দিকে বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত এবং একদিকে বঙ্গোপসাগর। বাংলাদেশ এবং ভারতের অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তাই তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। আজকের এই পোষ্টের মূল বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত এবং ভারত বাংলাদেশের সীমারেখার নাম কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা।
ভূমিকাঃ
ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভারত বন্ধু রাষ্ট্র। তবে অনেক ক্ষেত্রেই আবার ভারত বাংলাদেশ সম্পূর্ণ শত্রু রাষ্ট্র। ধর্মের উপর ভিত্তি করে ভারত এবং বাংলাদেশ মূলত শত্রু রাষ্ট্রের রুপ নিয়েছে। তাছাড়াও সীমান্তে হত্যা এবং ভারতীয় আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের জনগণ ভারত বিরোধিতা করেন।
আরো পড়ুন..
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অধিকাংশ বাঙ্গালী এবং ভারতীয় অপছন্দ করে থাকেন। যার কারণে ভারত বাংলাদেশ শত্রুতা একটু বেশি হয়েছে। তবে বাংলাদেশের সাথে ওপার বাংলা কলকাতার সম্পর্ক ভালো। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এবং কলকাতার সকল মানুষ এমনকি হিন্দুরাও নরেন্দ্র মোদি বিরোধী। চলুন দেখে আসি বাংলাদেশে ও ভারত সম্পর্কিত কিছু অজানা তথ্য।
বাংলাদেশের বর্ডার কয়টি
বর্তমানে বাংলাদেশের সর্বমোট তিনটি আন্তর্জাতিক বর্ডার রয়েছে। যার একটি হচ্ছে ভারতের সাথে, আবার অন্য দুটি হচ্ছে মিয়ানমার এবং বঙ্গোপসাগরের সাথে।
বাংলাদেশ ভারত বর্ডার: ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, এবং মিজোরাম এর সাথে বাংলাদেশের বর্ডার যুক্ত। এই বর্ডার এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৪,০৯৬ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ মিয়ানমার বর্ডার: ২৭১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য নিয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সাথে বর্ডার রয়েছে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত।
বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগর বর্ডার: বাংলাদেশের দক্ষিণ দিকে বাংলাদেশের এবং বঙ্গোপসাগরের বর্ডার অবস্থিত। এটাই বাংলাদেশের সমুদ্র সীমার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বাংলাদেশ ভারত সীমান্ত
ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি ভারত বাংলাদেশের মধ্যে মোট ৪,০৯৬ কিলোমিটার জুড়ে সীমান্ত এরিয়া রয়েছে। যেখানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, এবং মিজোরাম এর সাথে সাথে বাংলাদেশ বর্ডার রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের মোট ২৮ টি সীমান্তবর্তী এলাকা বা জেলা ভারতের সাথে যুক্ত।
আরো পড়ুন..
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা কয়টি
সীমান্তবর্তী জেলা হচ্ছে একটি দেশের ও অন্য দেশের সীমান্তের মধ্যে যে সকল জেলাগুলো অবস্থিত সেগুলোই সীমান্তবর্তী জেলা। বাংলাদেশের মোট 32 টি সীমান্তবর্তী জেলা রয়েছে। এই ৩২ টি সীমান্তবর্তী জেলা হচ্ছে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, রাজশাহী, জামালপুর, শেরপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, গোপালগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ফেনী, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার জেলা।
এই ৩২ টি জেলার প্রথম ২৮ টি জেলা ভারতের সাথে যুক্ত। এবং পরবর্তী চারটি জেলা মিয়ানমারের সাথে যুক্ত। চলুন জেনে নেই ভারত বাংলাদেশের সীমারেখার নাম কি ।
ভারত বাংলাদেশের সীমারেখার নাম
আমাদের আজকের এই পোষ্টের মূল টপিক ছিল ভারত এবং বাংলাদেশ এর সীমারেখার নাম কি। ভাই তোমাদের জেনেছি ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বাংলাদেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে সীমান্তবর্তী এলাকা রয়েছে। আরে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর দৈর্ঘ্য ৪,০৯৬ কিলোমিটার।
আরো পড়ুন..
ভারত এবং পাকিস্তানের সীমারেখার নাম হচ্ছে রেডক্লিফ লাইন। কিন্তু ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সীমারেখার কোন নির্দিষ্ট নাম নেই। সাধারণত আমরা ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত বলে থাকি। আবার অনেক ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল বাউন্ডারিও বলা হয়।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্থলবন্দর কয়টি
ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে সর্বমোট ৩০ টি স্থলবন্দর রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য স্থলবন্দরগুলো হচ্ছে বেনাপোল-পেট্রাপোল, আখাউড়া-আগরতলা, শিলিগুড়ি-দমদম, হাটসিংমারা-লালমনিরহাট, চুয়াডাঙ্গা-ঝিনাইদহ, নওগাঁ-দিনাজপুর ইত্যাদি। যার অধিকাংশই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাথে সংযুক্ত। বাংলাদেশ এবং ভারতের সকল বন্দরের মাধ্যমে আমদানি এবং রপ্তানির সুবিধা পেয়ে থাকে।
লেখকের মন্তব্য
ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র। আমাদের ভালো থাকতে হলে প্রতিবেশীদের সাথে ভালো ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিবেশীদের সাথে মিলেমিশে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের সাথে মিলে মিশে থাকতে হবে। তাহলে ভারত ভালো থাকবে। ভারত বাংলাদেশের বর্তমানে সম্পর্ক ভালো নয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রদান কারণ হচ্ছে সীমান্ত হত্যা, ভারতীয় অন্যান্য আগ্রাসন। ভারত যদি সকল আগ্রাসন বন্ধ করে তাহলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে। উভয় দেশেরই বিপদে পরতে হবে।
সবকিছু মিলিয়ে সবাই ভালো থাকবেন। সবাই সবার প্রতিবেশী ও বন্ধুদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবেন। ভালো লাগলে আমাদের এই পোস্ট বন্ধুদের কাছে ছড়িয়ে দিতে পারেন। আর নিয়মিত আমাদের এই Trickmi.com সাইটে ভিজিট করার অনুরোধ। যেকোনো ধরনের প্রশ্ন থাকলে Trickmi Q2Ans গিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন।